সংক্ষিপ্ত

  • শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে
  • অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে
  • একুশের ভোটে হারের কারণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সব্যসাচী
  • বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার অভিযোগ

তাঁর মন্তব্য বেসুরো হয়ে বেজেছে অনেকেরই কানে। বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একাধিকবার বিজেপি নেতৃত্বের ভুল পদক্ষেপের বিষয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরপরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের হাত ধরে কি তাহলে ফিরতে চলেছেন সব্যসাচী দত্তও। কারণ ইতিমধ্যেই এই সব মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির অভ্যন্তরে ক্ষোভ শুরু হয়েছে। 

সূত্রের খবর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সুভাষ সরকারের কাছে জমা পড়েছে অভিযোগ। উল্লেখ্য একুশের ভোটে হারের কারণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সব্যসাচী দত্ত। 

তিনি বলেছিলেন দলে পর্যাপ্ত বাঙালি মুখ না থাকা, হিন্দিভাষী নেতাদের ঘনঘন আনাগোনার জন্য নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। বিজেপির রণকৌশল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এমনকী পর্যালোচনা বৈঠকেও এই কথাই তিনি বলেছেন বলে মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় সব্যসাচীর বিরুদ্ধে। 

অভিযোগ এনে চিঠি লিখেছেন রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপম ঘোষ। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলা, বৈঠকের তথ্য বাইরে প্রকাশ করা শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। পরে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বিষয়টি বিচার করবে বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে এখানে প্রশ্ন উঠছে, যার হাত ধরে সব্যসাচীর বিজেপিতে প্রবেশ, সেই মুকুল রায় ফেরত চলে গিয়েছেন তৃণমূলে। তাহলে কি এবার সব্যসাচীর পালা? 

উল্লেখ্য, কলকাতার হেস্টিংসের কার্যালয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যস্তরের নেতাদের যোগ দিতে বলা হয়েছিল ওই বৈঠকে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনেকে আবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন মুকুল রায় সহ সব্যসাচী দত্ত ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তৃণমূলে ফেরার জল্পনা যে নেহাত অমূলক নয়, তা বলাই বাহুল্য।