সংক্ষিপ্ত
বাংলার ভোট নিয়ে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছে
আর তারপরই ভোট-কুশলীর কাজ ছাড়ার কথা জানালেন প্রশান্ত কিশোর
সাফল্যের চূড়ায় থেকেই জায়গা ছাড়লেন
কিন্তু কেন এই সাহস দেখালেন তিনি
তাপস দাস: সাফল্যের শীর্ষে থাকার সময়ে জায়গা ছাড়া মুখের কথা নয়। তেমন করার জন্য সাহস লাগে। তেমন সাহসই দেখালেন প্রশান্ত কিশোর। এক ইংরেজি টেলিভিশন চ্যানেলে কথোপকথনের সময়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, এই কাজ আর তিনি করবেন না।
ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর এবারের নির্বাচনের আগে একাধিকবার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, বিজেপি যদি ১০০ আসন বাংলায় পায়, তাহলে তিনি এই কাজে থাকবেন না। তিনি একই সঙ্গে বলেছিলেন, বিজেপির কোনও নেতা তাঁর এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বলুন, ১০০ না পেরোলে তাঁদের কেউ রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। বাস্তবে তেমনটা হয়নি। যদিও ফল ঘোষণা বাকি, তবে স্পষ্ট যে বাংলায় বিজেপি ১০০ আসন পাবে না। তা সত্ত্বেও প্রশান্ত কিশোর এই পরিসর ছেড়ে দিচ্ছেন বলে জানিয়ে দিলেন। তিনি বলেছেন, আই প্যাকের অন্যরা এই কাজ চালিয়ে যাবেন।
প্রশান্ত কিশোরের মুকুটে সাফল্যের পালক কম নয়। পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিং, তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন, এবং শেষ পর্যন্ত বাংলার মমতা, প্রশান্তের হাত ধরে সাফল্য অর্জন করেছেন। বিশেষ করে মমতার লড়াই যে শক্ত ছিল, সে নিয়ে সন্দেহ নেই। বাংলার ভোট জয় করতে কার্পটে বম্বিংয়ের মত প্রচার করেছে বিজেপি, বহু সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিয়ে আসা হয়েছে যোগী আদিত্যনাথকে, এমনকী নেমেছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীও।
এসবের পরেও যে শেষ রক্ষা হল না, তার অন্যতম কারণ প্রশান্ত কিশোরের কৌশল- এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এদিন টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত বলেন, পরবর্তীতে তিনি অন্য কোনও কাজে যুক্ত হবেন। তিনি সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেবেন কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার কোনও স্পষ্ট উত্তর প্রশান্ত কিশোর দেননি।
২০১৮ সালে জনতা দল ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ২০২০ সালে সে দল থেকে তাঁকে বিতাড়িত করা হয়, পার্টি প্রধানের সমালোচনা করার জন্য। প্রশান্ত কিশোর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের চুক্তি হয়।