সংক্ষিপ্ত
শনিবার দুপুর পর্যন্ত একটি ফার্মে প্রায় ১২০০ মুরগির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) ফুলবাড়িতে। ফুলবাড়ির একটি ফার্মে একের পর এক সোনালী মুরগির (Chicken) মৃত্যুর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পশু-চিকিৎসকদের কপালে।
মৃত্যু হল কয়েক শো মুরগির (Chicken)। শনিবার দুপুর পর্যন্ত একটি ফার্মে প্রায় ১২০০ মুরগির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে। ফুলবাড়ির একটি ফার্মে একের পর এক সোনালী মুরগির মৃত্যুর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পশু-চিকিৎসকদের (Veterinarian) কপালে। ফুলবাড়ির একটি ফার্মে এক রাতের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মুরগির। আচমকা এত মুরগির মৃত্যুতে মাথায় হাত ব্যবসায়ীরও। তবে, কী কারণে এত মুরগির মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
বাজারে দেশী মুরগির (Chicken) পাশাপাশি সোনালী মুরগি নামে এক প্রজাতির মুরগি পালন করা হয়। অনেক জায়গায় ব্যবসায়ীরা (business man) এই প্রজাতির মুরগিকেই দেশী মুরগি বলে বিক্রি করে থাকে। সম্প্রতি, এই সোনালী মুরগির ফার্ম বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি অঞ্চলে সোনালী মুরগীর ফার্ম করেছেন গৌতম পাটুয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকা লোন নিয়ে মুরগির ফার্ম করেছেন বলে জানান। এখন ফার্মে এত বড় ক্ষতিতে সমস্যা পড়েছেন ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন: Murshidabad: চাকরির ফর্ম জমা দিতে গিয়ে পুলিশের লাঠি, বহরমপুরের ঘটনায় হতবাক বেকার যুবকরা
আরও পড়ুন: KMC election: শেষবেলায় পুরভোটের প্রচারে খোদ মমতা, একদিনেই রয়েছে চার চারটি সভা
জানা গিয়েছে, গৌতম পাটুয়া ঋণ নয়ে নিজের বাড়িতেই ফার্ম খুলেছিলেন। সেখানে পালন করতেন সোনালী মুরগি (Chicken)। ব্যবসায় তাঁর মুনাফা ভালোই হচ্ছিল। কিন্তু, কাল রাতে হঠাৎই কয়েকশো মুরগির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১২০০ মুরগি মারা গিয়েছে। এক রাতে কেন এত মুরগির মৃত্যু হল তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না গৌতমবাবু ও তাঁর স্ত্রী।
গৌতমবাবু জানান, ২ তারিখ রাতে প্রতিদিনের মতোই মুরগিকে খাবার (Food) দিয়ে শুতে যান। সকালে উঠে দেখেন সব মুরগি (Chicken) মারা (Death) গিয়েছে। গৌতমবাবুর স্ত্রী আফিজা খাতুন জানান, ‘প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেই দেড় লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি। জানি না এবার কী হবে।’ আফিজা খাতুন এও জানান অসুস্থ মুরগি নিয়ে তিনি পশু হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ঠিক কী কারণ মুরগি (Chicken) মৃত্যু হয়েছে তা চিকিৎসকরাও বলতে পারেননি। তবে, কোনও রোগে মারা গেল নাকি কেউ চক্রান্ত করে মুরগি হত্যা করল তা এখনও জানা যায়নি। প্রায় দেড় বছরের অধিক সময় ধরে গৌতমবাবু ও তাঁর পরিবার এই সোনালী মুরগির চাষ করছেন। তবে, এভাবে এত মুরগির মৃত্যু প্রথমবার ঘটল বলে জানান, গৌতমবাবু ও তাঁর পরিবার।