সংক্ষিপ্ত
৫ জনের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, মহুয়া মৈত্র, জহর সরকার ও সাজদা বেগম। তাঁদের শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উপনির্বাচনের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে একদিন আগেই তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।
একুশের নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, দল ভালো হলেও ভোটে সাফল্য পাননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিততে না পারলেও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। তবে ৫ নভেম্বরের মধ্যে কোনও এক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিততে হবে তাঁকে। তাই রাজ্যের পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচন ও দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট করাতে চাইছে তৃণমূল। দ্রুত যাতে নির্বাচন করা হয় তার জন্য আজ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
৫ জনের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, মহুয়া মৈত্র, জহর সরকার ও সাজদা বেগম। তাঁদের শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উপনির্বাচনের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে একদিন আগেই তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন আগের থেকে অনেকটাই নিম্নমুখী। সূত্রের খবর, সেই কারণে করোনা বিধি মেনে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আজ কমিশনের কাছে আর্জি জানাতে পারেন তাঁরা।
রাজ্যের পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্র নদিয়ার শান্তিপুর, কোচবিহারের দিনহাটা, কলকাতার ভবানীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবাতে উপনির্বাচন হবে। আর নির্বাচনের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। তাই এই দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন- 'উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নেই রাজ্যে', কেন্দ্রকে চিঠি দিল রাজ্য BJP, উলটপূরাণ TMC-র
এই সাত কেন্দ্রে দ্রুত ভোটের দাবিতে, এর আগে ১৫ জুলাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। ৬ অগাস্ট, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও একই দাবি জানিয়েছিল তারা। কিন্তু, এখনও রাজ্যের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। তাই ফের কমিশনের দ্বারস্থ হতে চাইছে তৃণমূল।
যদিও এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে একমত নয় বিজেপি। 'উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নেই রাজ্যে' বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তবে কী কারণে উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নেই তা ৮ দফায় ব্যাখ্যাও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপির ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, 'রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে তৃতীয় ঢেউ আসার কথা রয়েছে। এদিকে উৎসবের মাস অক্টোবর, রয়েছে দুর্গাপুজো।' পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিধিনিষেধের কথা তুলে ধরেছে বিজেপি। আর সেই কারণেই তারা এখনই চায় না নির্বাচন।
আরও পড়ুন- বঙ্গ বিজেপির নতুন চমক 'মোদী রেশন ব্যাগ', সামনে আনলেন দিলীপ ঘোষ
এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব কিছু বন্ধ রাজ্যে। কিন্তু উনি উপনির্বাচন চাইছেন। এতগুলো পুরসভার নির্বাচন বাকি রয়েছে। মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে উনি উপনির্বাচন চাইছেন।"