সংক্ষিপ্ত

ভেঙেছে ডান পা, প্লাস্টার করা হল বা পায়ে।  চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে কাঠগোড়ায় রাজ্যের জেলা হাসপাতাল, তড়িঘড়ি করে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।  

ভেঙেছে ডান পা, প্লাস্টার করা হল বা পায়ে। না কোনও ফেলে আসা স্কুল জীবনের ছোট গল্প নয়। একেবারেই সত্য ঘটনা। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে কাঠগোড়ায় রাজ্যের জেলা হাসপাতাল (Shaktinagar district Hospital ) । দুর্ঘটনায় ডান পা ভেঙে গিয়ে রাজ্যের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন বছর পয়ষট্টির এক প্রৌঢ়া। এরপর দ্রুত তাঁকে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই অবধি ঠিক ছিল। শুধু প্লাস্টার করে ফেলার পরেই হয় বিপত্তি। ভাঙা পায়ে প্লাস্টার না করে, ভাল পায়েই প্লাস্টার করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রোগীর যন্ত্রণা চরমে ওঠে। তড়িঘড়ি করে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রোগীর পরিবার  অভিযোগ করতেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্য়ে এসেছে। 

বছর পয়ষট্টির ওই প্রৌঢ়া নদিয়ার নকশিপাড়া থানার আরবেতাই এলাকার বাসিন্দা। সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েই আজিফা বেরা নামের ওই প্রৌঢ়া  ডান পা ভেঙে যায়। যন্ত্রনায় কুকড়ে যাওয়া ওই বৃদ্ধাকে এরপর তড়িঘড়ি করে রাজ্যের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে প্লাস্টার করার পরেও তীব্র বেগে ব্যাথা বাড়তে থাকে। তারপরেই খেয়াল হয় ভয়াবহ সেই দৃশ্য। ভেঙেছে ডান পা। চিকিৎসকেরা প্লাস্টার করে দিয়েছেন বা পায়ে। এরপর তড়িঘড়ি করে তাঁকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয়  শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরেই উত্তজনা তৈরি হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে তার আগেই ঝামেলা বাধতে পারে অনুমান করেই কোতোয়ালি থানায় খবর দেয়  শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন, গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় এখনই সিবিআই অনুসন্ধান নয়, যাবে না চাকরি, নির্দেশ হাইকোর্টের

এরপরে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। রোগীর পরিবাররে তরফে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের সুপারারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া   শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে মেলেনি। প্রসঙ্গত, ভুল চিকিৎসা যেকোনও ক্ষেত্রেই তা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। মুহূর্তে অতর্কিতে যে বড়সড় মাশুল গুণতে হতে পারে, তা আর বলা অপেক্ষা রাখে না। অনেকেই তার শিকারও হন। প্রসঙ্গত, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের রচনা এবং সত্যজিত রায়ের ছবি 'অরণ্যের দিনরাত্রি'-তে শমিত ভঞ্জকে প্রাণ ভরে দেখেছিল সারা বাংলা। তখনও কেউ জানতো না, যে পরের বার 'আবার অরণ্য়ে' নিভতে চলেছে সেলুলয়েডের অন্যতম অভিনেতার জীবন দ্বীপ। জীবনকালে তিনিও ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার পথ আর ছিল না। কারণ ধরা পড়েছিল অনেক দেরিতে। তাই প্লাস্টারই হোক কিংবা পেসমেকার, চিকিৎসকের মন সরলেই মাশুল গুণতে হয় সেই রোগীকেই।