সংক্ষিপ্ত

আজ সকালে মহাত্মা গান্ধীর ৭৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবছরও ব্যারাকপুর গান্ধীঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সস্ত্রীক তিনি ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে গিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এদিনের এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল-সহ ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, স্বরাষ্ট্র সচিব সহ অন্যরা।

রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। রবিবাসরীয় সকালে মহাত্মা গান্ধীর ৭৪তম প্রয়াণ দিবসে গান্ধীঘাটে শ্রদ্ধা জানানোর সময় ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গকে রক্তরঞ্জিত হতে দেখতে পারব না। বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে, সংবিধান রক্ষা করাই আমার দায়িত্ব।"
 
আজ সকালে মহাত্মা গান্ধীর ৭৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবছরও ব্যারাকপুর গান্ধীঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সস্ত্রীক তিনি ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে গিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এদিনের এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল-সহ ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, স্বরাষ্ট্র সচিব সহ অন্যরা। এই অনুষ্ঠানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় আক্রামণ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে। এটা বরদাস্ত করতে পারব না। বাংলার মাটিকে রক্তরঞ্জিত হতে দেখতে পারব না। বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে। সংবিধানকে রক্ষা করা আমার কাজ। মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, সময় বের করে আমার সঙ্গে কথা বলুন। ব্যক্তিগত ইগো নিয়ে চলা ঠিক নয়।"

তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন থাকবে না, এটা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। এখানে আইনের শাসন নেই, শাসকের শাসন চলছে। আমার দায়িত্ব প্রথম নাগরিক হিসেবে সংবিধান মেনে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সেবা করা। আপনাদের মাধ্যমে আমি বলতে চাই, যত কঠিন পরিস্থিতির মুখেই পড়তে হোক, আমাকে যত অপমান সহ্য করতে হোক, আমি নিজের পথেই অনড় থাকব।"

এদিকে সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নেতাই যেতে পুলিশ বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এনিয়ে ফের মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। সোমবার সকাল ১১টায় রাজভবনে তলব করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে কেন বাধা দেওয়া হল, তার ব্যাখ্যা চেয়ে ৭ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে পাল্টা রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, আইএএস অ্যাসোসিয়েশন ও রাজ্য পুলিশকে ট্যাগ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইটারে লেখেন, "বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ের শহিদ দিবসে কেন সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি? সেই ব্যাপারে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছি। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে পুলিশের এই আচরণ, আসলে আইনের শাসনের বদলে শাসকের আইনের প্রতিফলন। যা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।"