সংক্ষিপ্ত

তিন লক্ষ টাকার চুক্তি সেরেই আর কাঁচা বাদাম বিক্রি করবেন না বলে জানিয়েছেন ভুবন বাদ্যকর।  ভাইরাল গানের স্রষ্ঠা স্বয়ং ভুবন বাদ্যকার কাঁচা বাদাম বিক্রি করা ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি গানের সাধনাতেই ডুবতে চান তিনি।  

 

তিন লক্ষ টাকার চুক্তি সেরেই আর কাঁচা বাদাম বিক্রি করবেন না বলে জানিয়েছেন ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar ) । এদিকে  ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম এখন সারা দেশকে মাতিয়ে এখন বহুল চর্চিত বিদেশেও। আর সেই ভাইরাল গানের স্রষ্ঠা স্বয়ং ভুবন বাদ্যকার কাঁচা বাদাম বিক্রি করা ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি গানের সাধনাতেই ডুবতে চান তিনি।  

প্রসঙ্গত, 'বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বাবু ভাজা বাদাম'। এই গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল। সারা বিশ্বে কয়েক মিলিয়ন মানুষ দেখে ফেলেছেন। ভুবন বাদ্যকর পেশায় একজন বাদাম বিক্রেতা।  বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। পেটের টানে কাঁচা বাদামের বস্তা পিছনে চাপিয়ে ঘুরে বেড়ান  গ্রাম থেকে গ্রামে।আগে সাইকেলে করে ঘুরলেও এখন পুরনো একটা মোটর সাইকেল কিনে তাতে চেপেই বাদাম বিক্রি করতে বের হন তিনি। গ্রামের পথে কাঁচা বাদাম বিক্রি করতে গিয়েই গান বেঁধেছেন তিনি। বাদামওয়ালার গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ছুটে আসেন অনেকেই। শুধু গান শোনা নয়, গানের পাশাপাশি তাঁর কাছে বাদামও কেনেন অনেকেই। তবে শুধু টাকা দিয়ে নয়, পুরনো সিটি গোল্ডের চেন, চুড়ি, হাতের বালা, মোবাইল ভাঙা, হাঁসের পালক, মাথার চুল ইত্যাদির বিনিময়েও বাদাম কেনা যায় তাঁর কাছ থেকে। আর এই সরঞ্জামের নাম দিয়েই একটি গান বেঁধে ফেলেছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম গানটি টলিউড, বলিউড ছেড়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছ। প্রত্যেকেই নিজের মতো পৃথক সংষ্করণ বার করেছে। সঙ্গে চলছে ডাবসম্যাশ এবং নাচের রিলস। আর এবার শিল্পী ভুবন বাদ্যকরের ব্যবসায়িক স্বার্থকে কাজে লাগিয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে গোধূলিবেলা মিউজিক কোম্পানি। বীরভূমের ইলামবাজারের  এই গোধূলিবেলা মিউজিক কোম্পানিই প্রথম শিল্পী ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম গানটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। এবার বৃহস্পতিবার খাতায় কলমে ভুবনের সঙ্গে কপিরাইট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তাঁরা। যাতে ভুবনের ওই গান ব্যবহার করার আগে অনুমতি নিতে হবে প্রত্যেককে। বিনিময়ে পারিশ্রমিকও মিলবে। সেই উপলক্ষেই ইলামবাজারে ছিলেন ভুবন। তিন লক্ষ টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি। এর মধ্যে ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ টাকা পেয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই বকেয়া দেড় লক্ষ টাকা পেয়ে যাবেন বলে কথা হয়েছে। এরপরেই ভুবন জানিয়েছেন, এরপর থেকে তিনি আর কাঁচা বাদাম বিক্রি করবেন না।