সংক্ষিপ্ত

কলকাতা পুরভোটের পর এবার রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলিতেও বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। তার আগেই দলকে নতুন করে চাঙ্গা করতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে এই ব্যাপক রদবল বলে মনে করা হচ্ছে।

কয়েকদিন আগেই রাজ্য কমিটিতে বিজেপি-র বড়সড় রদবদল নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল বিস্তর চাপানউতর। বিজেপির(BJP) কনভেনার পদ থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। কমিটিতে বাদ পড়েছিলেন সায়ন্তন বসুর মতো বড় মাপের নেতারা। অন্যদিকে ক্ষমতা কমেছিল অনেক পুরনো পদ্ম নেতার। পাশাপাশি বিজেপি জেলা বিভাগের দায়িত্বে এসেছেন সঞ্জয় সিং, অর্জুন সিং। এছাড়াও লকেট চট্টোপাধ্যায়(Locket Chatterjee)-সহ একঝাঁক নেতারা নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। এবার রাজ্য কমিটির(State Committee) পর জেলা কমিটিতেও(district committee) বড়সড় রদবদল করে ফেলল বিজেপি। একযোগে অপসারিত হয়ে গেলেন ৩০ জন জেলা সভাপতি। সহজ কথায় রাজ্য কমিটি রদবদলের পর এবার জেলা সভাপতি, ইনচার্জ-সহ একাধিক পদে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। যা নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১০০-র গণ্ডি পার না করলেও ৭০ উর্ধ্ব আসন পেয়ে শেষ বিধানসভা ভোটে(Assembly vote) কোনোরকমে রাজ্যে মুখ রক্ষা করেছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু সেই ক্ষমতাও এবার লোপ পেয়েছে কলকাতার পুরভোটে। গতবারের ৭টি ওয়ার্ডের বদলে বিজেপি-র দখলে এসেছে এবারে মাত্র ৩টি ওয়ার্ড। এদিকে কলকাতা পুরভোটের(Kolkata Municipality vote) পর এবার রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলিতেও বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। তার আগেই দলকে নতুন করে চাঙ্গা করতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে এই ব্যাপক রদবল বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যের ৩৯টি সাংগঠনিক জেলা বাড়িয়ে ৪২টি সাংগঠনিক জেলা করা হয়েছে বিজেপি-র তরফে।তুন ৩টি সাংগঠনিক জেলা হল মালদা, দক্ষিণ জয়নগর ও বোলপুর। ৩৯টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩০ টিতেই সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- কলকাতার পর পুরভোটের দামামা বেজেছে বাকি জেলায়, রানাঘাটে শুরু তৃণমূলের প্রচারাভিযান

এদিকে মালদহের দায়িত্ব পেয়েছেন সঞ্জয় সিং। সাংগঠনিকভাবে বীরভূমকে (Birbhum) দু’টি জেলায় ভাগ করল বিজেপি। তার মধ্যেই একটি হচ্ছে বোলপুর। এই জেলায় আবার দু’জন আলাদা সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভানেত্রী করা হয়েছে সঙ্গীতা চৌধুরীকে। উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি হয়েছেন কল্যাণ চৌবে। কলকাতা উত্তরের দায়িত্বে শীলভদ্র দত্ত এবং দক্ষিণে সৌরভ শিকদার। বর্ধমান ও পুরুলিয়ার দায়িত্বে লকেট চট্টোপাধ্যায় ও নির্মল কর্মকার। হুগলি ও মেদিনীপুরের দায়িত্বে দীপক বর্ম ও মনোজ পান্ডে। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভাগের নতুন দায়িত্বে অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এই রদবদলের হাত ধরে আগামীতে বিজেপি-র শক্তি বাড়ে কিনা এখন সেটাই দেখার।