সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি ৯ ডিসেম্বর তাঁকে দেখা যায় নদীয়ার কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক বৈঠকে। সেখানে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বিস্তর বকঝকাও করেন তিনি। এবার ওই দিনের বৈঠক নিয়েই নতুন করে দানা বাঁধল বিতর্ক। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।
পুরভোটের মুখে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক সভা করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Banerjee)। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি জোরকদমে বৈঠক চলছে দক্ষিণবঙ্গেও। সম্প্রতি ৯ ডিসেম্বর তাঁকে দেখা যায় নদীয়ার কৃষ্ণনগরের(Nadia's Krishnanagar) প্রশাসনিক বৈঠকে। সেখানে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বিস্তর বকঝকাও করেন তিনি। এবার ওই দিনের বৈঠক নিয়েই নতুন করে দানা বাঁধল বিতর্ক। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।
গত ৯ ডিসেম্বর নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এক প্রশাসনিক মিটিংয়ে(Krishnanagar administrative meeting) উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। জেলা পুলিশ প্রশাসন এবং বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের সাথে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম এবং এলাকার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করা কোনও বিধায়ক ডাক পাননি ওই বৈঠকে। আর এখানেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কিন্তু জেলার ১৭টি বিধানসভার মধ্যে ৯টি-তেই রয়েছে বিজেপি বিধায়ক(BJP MLA)। বিরোধীদের দাবি, বিধায়ক পদ গণতান্ত্রিক ভাবে জিতে আসা জন প্রতিনিধিত্বের পদ, মুখ্যমন্ত্রীর আসনও তাই। কিন্তু প্রশাসনিক বৈঠকে যদি এই ভাবে দলীয় রাজনীতির রং চড়ানো হয় তবে তবে গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর। এবার এই বিষয়েই মুখ খুলতে দেখা গেল রানাঘাট তপশিল কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে।
আরও পড়ুন-মধ্যরাতে হ্যাক মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট, নেপথ্যে বিট কয়েন মাফিয়া নাকি অন্য কেউ
এদিন জগন্নাথ সরকারকে বলতে শোনা যায়, “স্বভাবসিদ্ধভাবেই মুখ্যমন্ত্রী সরকার এবং দলের কোনও পার্থক্য রাখেন না। জনগণ দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ না করে মূলত জনগণকেই অপমানিত করেছেন তিনি। গঙ্গা ভাঙ্গন প্রসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে প্রায়শই দোষ চাপিয়ে থাকেন, এদিন ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।” সাংসদের প্রশ্ন প্রকৃতই যদি তা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব হয়ে থাকে তাহলে মাঝেমধ্যেই কিছু বালির বস্তা নিয়ে স্থানীয় বিডিও এসডিও এবং জনপ্রতিনিধিরা দৌড়াদৌড়ি করেন কেন? আসলেও সেখান থেকেও মানুষকে বিভ্রান্ত করে কাটমানি খাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন ওরা। এদিন তিনি দৃঢ়তার সাথে আরও বলেন, “রাজ্য সরকার গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করুক আমি সাংসদ হিসাবে কথা দিচ্ছি তা মঞ্জুর করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।” এদিকে জগন্নাথ সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী দলীয় স্বার্থ ও প্রসাসনিক স্বার্থ নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনায় অবতীর্ণ হয়েছে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীরাও। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শাসক দলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।