সংক্ষিপ্ত
তল্লাশি চালিয়ে রাইফেল, ২০টি কার্তুজ , ২০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার, নিষিদ্ধ সিরাপের ১৩৮টি বোতল উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা।
আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ থেকে মাদকদ্রব্য। কি নেই তালিকায়? একের পর এক বেআইনি জিনিস উদ্ধার করল এদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ (BSG)। ইন্দো-বাংলা সীমান্তের (India-Bangaadesh Border) আন্তর্জাতিক সীমারেখা পেরিয়ে মাদক ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করার আগেই বমাল সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তল্লাশিতে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ উন্নত মানের আগ্নেয় অস্ত্র ও মাদক।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মুর্শিদাবাদের দয়ারামপুর এলাকায়। ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে রাইফেল, ২০টি কার্তুজ , ২০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার, নিষিদ্ধ সিরাপের ১৩৮টি বোতল উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সীমান্তে পাচারকারীদের জমায়েতের খবর পেয়ে বিএসএফ অভিযান শুরু করে। কিন্তু জওয়ানরা সেখানে পৌঁছনোর আগেই দুষ্কৃতীর দল বা পাচারকারীরা চম্পট দেয়। তবে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেনি পাচারের সামগ্রী। আগ্নেয়াস্ত্র এবং মাদকের বোতল ভর্তি বস্তা ফেলে চম্পট দেয়।
অন্যদিকে, পার্শ্ববর্তী সাগরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএসএফ ৯০৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। এক পাচারকারী কীটনাশক স্প্রে করা মেশিনের ভিতরে ভরে সেগুলি পাচারের চেষ্টা করছিল। বিএসএফ তাকে তল্লাশি করতে চাইলে সেই ব্যক্তি মেশিনটি ফেলে পালিয়ে যায়। বিএসএফ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্য এবং আগ্নেয়াস্ত্র স্থানীয় থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্রমশ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মুর্শিদাবাদের সক্রিয় হয়ে উঠেছে অস্ত্র কারবারের নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে এইতো নতুন মাদক কারবারের সরঞ্জাম।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের নিরাপত্তা কারণে এই রাজ্যে বিএসএফএর এক্তিয়ার আগের তুলনায় বাড়িয়ে গিয়েছে। আগে আন্তর্জাতিক সীমারেখা থেকে বিএসএফ-এর দায়িত্ব শুরু হত। তার বিস্তার ছিল ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে রাজ্য বিধানসভায় একটি বিলও পাশ হয়েছে। শুধু বাংলা সঙ্গে অসম ও পঞ্জাবেও বিএসএফ-এর কাজের এক্তিয়ার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
দিল্লি যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন গায়ের জোরে তিনি বিএসএফ-কে জায়গা দখল করতে দেবেন না। তবে বিএসএফ-র সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তারা তাঁর বন্ধু বলেও জানিয়েছেন। বিজেপি বিএসএফ-এর মাধ্যমে দলের ক্ষমতা বাড়াতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায় 'BSF মানেই BJP সেফ'- এটা মনে করা ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন প্রত্যেকটি সংগঠনেরই নিজস্ব কাজের পদ্ধতি ও এক্তিয়ার রয়েছে। রাজ্য পুলিশেরও যেমন রয়েছে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীরও তেমন রয়েছে। কিন্তু বিজেপি তা মানতে চাইছে না বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসাদউদ্দিন ওয়াসির সঙ্গে মমতার তুলনা, 'সাম্প্রদায়িক রাজনীতির' অভিযোগ বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের
PM Modi At Kanpur: 'দুর্ণীতির সুগন্ধী ছিটিয়েছে', পীযূষ জৈন ইস্যুতে অখিলেশকে নিশানা মোদীর