সংক্ষিপ্ত
রবিবার সকাল সাড়ে আটটায় তিনি এভারেস্ট জয় করেন। তবে শুধু চূড়া জয় করেই ঝুলি ভরেননি তিনি, সঙ্গে রয়েছে আরও একটা রেকর্ড। সেটা হল অক্সিজেন ছাড়াই এই পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
মনের ইচ্ছাশক্তিই শেষ কথা। প্রমাণ করে দিলেন পিয়ালি বসাক। নামটা ঠিক চেনা লাগছে না, তাই না? এবার যদি বলি এই কন্যা অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্টের চূড়ায় উঠে দেখিয়েছেন, তবে? অবাক হয়ে যাবেন তো ? সেটাই স্বাভাবিক। পিয়ালি বসাক ঠিক সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন। অক্সিজেন ছাড়াই উঠে পড়েছেন এভারেস্টের মাথায়। রবিবার সকাল সাড়ে আটটায় তিনি এভারেস্ট জয় করেন। তবে শুধু চূড়া জয় করেই ঝুলি ভরেননি তিনি, সঙ্গে রয়েছে আরও একটা রেকর্ড। সেটা হল অক্সিজেন ছাড়াই এই পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
রবিবার সকালে ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে এভারেস্টে উঠে পড়েন পিয়ালী। এই খবর এসে পৌঁছাতেই গোটা বাংলা জুড়ে বইছে খুশির হাওয়া। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখতেন এই কন্যা। আর চারটে মেয়ে বা ছেলে যেমন ১০-৫টা চাকরির খোঁজ করে, সেই প্রথাগত ও চিরাচরিত পথে হাঁটতে চাননি তিনি। ছোটবেলায় এডমন্ড হিলারি, তেনজিং নোরগেদের গল্প শুনে রোমাঞ্চিত হতেন এই বঙ্গতনয়া। সেই মত ছোটবেলা থেকেই নিজেকে তৈরি করতে থাকেন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা পিয়ালী।
ভারতীয় সময় রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা এবং নেপালের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই কীর্তি গড়েন মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট পিয়ালি। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের আগে অমরনাথ, ধৌলগিরি এবং মানসুলুর শিখর ছুঁয়েছেন এই বঙ্গতনয়া। বিশ্বে এমন অনেক পর্বতারোহী রয়েছেন, যাঁরা অক্সিজেন ছাড়াই ৮৮৪৮ মিটার উপরে উঠে এভারেস্ট শৃঙ্গ ছুঁয়েছেন। কিন্তু বাঙালি মেয়ে হিসেবে পিয়ালিই প্রথম যিনি এই রেকর্ড গড়েছেন।