সংক্ষিপ্ত

বড়দিনকে সামনে রেখেই লাভের মুখ দেখতে চাইছে বাংলার বেকারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। রাজ্যের একাধিক জেলার বেকারিগুলিতে বর্তমানে জোরকদমে চলছে কেক তৈরির কাজ। সেই চিত্রই ধরা পড়ল নদীয়ায়।

করোনা সংক্রমণের জেরে গত প্রায় দুবছরের বেশি সময় ধরে বিশেষ উৎসবে মাতেনি বাঙালি। চলতি বছর দুর্গাপুজোর(Durgapuja) সময় থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করলে হাসি ফোটে আম-আদমি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের মনেও। এদিকে হাতে আর মাত্র একদিন। তারপরেই বড়দিনের আনন্দে মাততে চলেছে বঙ্গবাসী। এদিকে বড়দিনকে সামনে রেখেই লাভের মুখ দেখতে চাইছে বাংলার বেকারি শিল্পের(bakery industry of Bengal) সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। রাজ্যের একাধিক জেলার বেকারিগুলিতে বর্তমানে জোরকদমে চলছে কেক তৈরির কাজ। সেই চিত্রই ধরা পড়ল নদীয়ায়(Nadia)।

সহজ কথায় হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন! তারপরেই সারা পৃথিবীতে নেবে আসবে খুশির বন্যা। প্রভু যীশুর শান্তির বার্তা পৌঁছাবে বাংলাতেও। শুধু খ্রিস্টান নয় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই অংশগ্রহণ করেন এই উৎসবে। এইসময় বাজার ভরে ওঠে রকমারি কেকে। স্বভাবতই এই সময় কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে মুখিয়ে থাকেন বেকারি ব্যবসায়ীরা। এমতাবস্থায় বিভিন্ন জেলার মতো নদীয়া জেলাতেও সাজ সাজ রব। ক্রিসমাস ট্রি, স্যান্টাক্লজ এবং তার উপহারের ডালির পসরা সাজিয়ে বসেছেন শহরের বিভিন্ন দোকান। জীবন্ত সান্তাক্লজদের মিলেছে ভাড়া। কেকের বেকারি গুলিতেও প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। একদিকে হাড় কাঁপানো শীতের কামড় অন্যদিকে বড়দিন(Christmas 2021) উপলক্ষে কেকের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে নদীয়ার বেকারিগুলিতে শেষ মুহূর্তের কেক তৈরিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠেছে। তবে বড়দিনের আগে নদীয়ার স্থানীয় বেকারির তৈরি কেকের চাহিদা বরাবরই থাকে বেশি।

আরও পড়ুন-মালদহে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, বাধা দিলে মাথায় কোপ প্রতিবেশী যুবকের

এদিকে সারা বছর বেশির ভাগ মানুষ সাধারণ বহুজাতিক সংস্থার কেকই বেশি কিনে থাকেন। কিন্তু বড়দিনের সময় হাল ফেরে বেকারির কেকের। বাড়ে কেনাকাটা। আর তাতেই নতুন করে আশার আলো দেখেন বেকারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। তবে অন্য সময়েও বেকারির কেকের এর প্রচলন আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে বলে অভিমত জেলার বেকারি মালিকদের। কম দামে কেক নিতে এখনও এই বেকারি গুলিরই উপরই নির্ভর করে থাকেন একটা বড় অংশের মানুষ। অন্যদিকে কেক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একাংশের মত, গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন তারা। বাড়ছে অর্ডার। অন্যদিকে ক্রিসমাস মিটলেও সামনে আসছে নতুন বছর। সেই সময়েও গোটা রাজ্যেই বরাবরই কেকের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। ভালো ব্যবসা করে বেকারি গুলিও।