সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর মঙ্গলবার সকালেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি শান্তিনিকেতনে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একদল আধিকারিক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা যাওয়ার দিনেই সিবিআই হামলা অস্বস্তি বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের। কয়লাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকতার বাড়ি শান্তিনিকেতনে সিবিআই হানা। সূত্রের খবর কয়লাকাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই আধিকারিকরা। দলে রয়েছে মহিলা তদন্তকারী আধিকারিকরাও।
সূত্রের খবর মঙ্গলবার সকালেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি শান্তিনিকেতনে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একদল আধিকারিক। তারাই জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে এদিনই ত্রিপুরা যাওয়ার কথা রয়েছে অভিষেকের। ২৩ জুলাই ত্রিপুরার বিধানসভার উপনির্বাচন। দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের জন্য এদিনই তাঁর ত্রিপুরা যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। তবে তিনি ত্রিপুরা সফর এখনও বাতিল করেননি বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই সূত্রের খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় আগে একাধিকবার অভিষেক পত্নী রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি। কিন্তু রুজিরা হাজিরা দেননি। বারবারই এড়িয়ে গেছেন। তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এবার সিবিআই সরাসরি অভিষেকের বাড়িতে গিয়েই কয়লাকাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। যদিও এটাই প্রথম নয়। এর আগেও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকরা অভিষেকের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে গিয়েছিল তদন্তের স্বার্থে।
অন্যদিকে এদিন বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দিল্লি যাওয়ার কথা । রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে ইতিমধ্যেই প্রায় ২২ জন অবিজেপি নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। যদিও তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন মমতা। যদিও কংগ্রেস সূত্রের খবর এই বিষয় নিয়ে সনিয়ো গান্ধী আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের পছন্দের প্রার্থীর কথা জানতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এজাতীয় বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়ায় কংগ্রেস কী ভূমিকা নেবে তা নিয়ে সংশয় রেছে।
আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশের শাসক দল বিজেপি যাতে সুবিধে না পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার বিকেল তিনটে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বেঠক ডাকা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখেই দিল্লির অ-বিজেপি দলগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা করছেন তিনি।