সংক্ষিপ্ত

প্রার্থী সমস্যা মেটাতে সোমবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম পথসাথিতে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু কোর কমিটির ২ ঘন্টার বৈঠকেও বেরিয়ে এলো না সমাধানসূত্র।

আসন্ন পৌর নির্বাচনে (Municipal Corporation Election)  তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার (Trinamool candidate list) পর থেকেই বালুরঘাটে তৃণমূলের অন্দরে প্রার্থী নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ (anger growing in Balurghat) দেখা দিয়েছে। বালুরঘাট পৌরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী কারা হচ্ছেন তা নিয়ে ধন্দ্ব এখনও অব্যাহত। প্রথম লিস্টের পর দ্বিতীয় লিস্ট বের করার পরও ক্ষোভ কমেনি তৃণমূল কর্মী সমর্থক থেকে নেতৃত্বদের মধ্যে। 

এদিকে প্রার্থী সমস্যা মেটাতে সোমবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম পথসাথিতে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু কোর কমিটির ২ ঘন্টার বৈঠকেও বেরিয়ে এলো না সমাধানসূত্র। জেলা সভাপতি সহ জেলার সমস্ত কমিটির সদস্যদের নিয়ে সোমবার বিকেলে পথসাথীতে মিটিং করেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। ২ ঘন্টা ধরে আলোচনার পরেও বেরিয়ে আসেনি কোনরকম সমাধান সূত্র। 

প্রথম দিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ৫ ঘণ্টা পর এই প্রথম প্রার্থী তালিকা বাতিল করে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয় যেখানে সাতজনের নাম বাদ গিয়েছিল। তারপর থেকেই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে একটা প্রশ্ন থেকেই গেছে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে। 

বিপ্লব মিত্র পরিষ্কারভাবেই জানান, নমিনেশন সাবমিট যারা করবেন, সেই তালিকা দেখে নিয়ে তার পরেই বলা যাবে চূড়ান্ত প্রার্থী কারা হলেন। অর্থাৎ পৌরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত ধোঁয়াশা থেকেই গেল বালুরঘাটে। কোন তালিকা সঠিক প্রথমে যেটা প্রকাশিত হয়েছিল সেটা নাকি দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশিত হল সেটা? তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে গেল বালুরঘাটে।

এদিকে, ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চারটি পুরনিগমে ভোট হবে। তার মধ্যে বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি ও আসানসোলে পুরোভোট হবে। আর এগুলির ফলপ্রকাশ হবে ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু, রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে ভোটের দিন এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। তবে ভোটের দিন ঘোষণা না হলেও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বিজেপি থেকে শুরু করে, তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবাই

পুরভোটের (Municipal Election) দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের পরই বকেয়া পুরসভায় ভোট হবে। আর সেই কারণেই শাসকদল (TMC) থেকে শুরু করে বিরোধীরা এখন জোরকদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। আসলে এই সময় প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা।