সংক্ষিপ্ত
মুর্শিদাবাদ দখলে ফের মাঠে নামানো হচ্ছে তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। বিরোধী শিবিরে থাকা 'ত্রিশঙ্কু' কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপিকে একযোগে টার্গেট করতে চাইছেন পিকে।
মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) দখলে ফের মাঠে নামানো হচ্ছে তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor)। রাজনৈতিক মহলে সেই চাপানউতোর নিয়েই এখন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র। আর এক্ষেত্রে বিরোধী শিবিরে থাকা 'ত্রিশঙ্কু' কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপিকে একযোগে টার্গেট করতে চাইছেন পিকে বলেই বিশেষ সূত্রের খবর।
মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম এলাকায় তৃণমূলের দলীয় সভায় সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে প্রায় চারশোরও বেশী কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি তথা জঙ্গিপুরের সংসদ সদস্য খলিলুর রহমান, নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল ও স্থানীয় নেতৃত্ব।
যোগদানকারীরা বলেন, বিরোধী দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। তৃণমূল দলে মানুষের জন্য কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। কাজেই মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষের কাজ করতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম। খলিলুর রহমান বলেন, এই জেলায় ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী এখানকার মানুষের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজেই উন্নয়নে শামিল হতে বিরোধী দল থেকে প্রতিদিন নেতা কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন"।
যদিও এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করে অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক সচিব জয়ন্ত দাস এদিন বলেন,"তৃণমূলের কাজই হচ্ছে বিরোধীদের প্রলোভন দেখিয়ে ঘর ভাঙ্গে ও নিজেদের পাল্লা ভারী করা মুর্শিদাবাদে। ওদের রাজনীতি করার স্টাইল মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষ খুব ভালভাবেই বুঝে গিয়েছেন। ওইসব ভোট কুশলীকে দিয়ে বিশেষ কিছু হবে না। নিরপেক্ষ ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখাক রাজ্য সরকার এখানে গো হারা হারবে"।
নিজের পার্সে কত টাকা রাখেন মুকেশ অম্বানি, জানলে চোখ কপালে উঠবে
ব্যাঙ্কের চেক থেকে রান্নার গ্যাসের দাম, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু একাধিক নতুন নিয়ম
Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা
পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, "মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপি তৃণমূলের কাছে যে ক্রমশ রাজনৈতিকভাবে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা শাসকদলের নোংরা রাজনীতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে"।