সংক্ষিপ্ত
অধীর চৌধুরী বলেন, কেন্দ্র সরকার দেশবাসীকে সবকিছু ভুলিয়ে দিতে চাইছে। ভারতবর্ষের অতীতটাকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চাইছে বিজেপি।
অমর জওয়ান জ্যোতি (Amar Jawan Jyoti) ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Chowdhuri) নিশানায় বিজেপি (BJP) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কেন্দ্রীয় সরকারের অমর জওয়ান জ্যোতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে বিঁধলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
এদিন তিনি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের অমর জওয়ান জ্যোতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বিজেপি, আরএসএসকে তুলোধোনা করেন। লোকসভার বিরোধী নেতা বলেন, কেন্দ্র সরকার দেশবাসীকে সবকিছু ভুলিয়ে দিতে চাইছে। ভারতবর্ষের অতীতটাকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চাইছে বিজেপি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অতীত, সম্প্রীতির ইতিহাস ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি। তার পরিবর্তে বিজেপি, আরএসএসের নিজস্ব সংস্কৃতি বপন করতে চাইছে।
এদিন কটাক্ষ করে অধীর বলেন ভারতবর্ষে দ্বিতীয় রিপাবলিকের জন্ম দিতে চাইছে বিজেপি। যে প্রজাতন্ত্রে অতীত বলে কিছু থাকবে না। যা কিছু সব বিজেপি। যা কিছু সব আরএসএস। অমরজ্যোতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা অতীতের স্মৃতি মুছে ফেলারই একটা অঙ্গ। অধীর আরোও বলেন, দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে যে সেনারা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন অমরজ্যোতিতে তাঁদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। যেহেতু ইন্দিরা গান্ধীর আমলে তৈরি, তাই এটা মুছে দেওয়া হল।
অধীরবাবুর দাবি, ইন্ডিয়া গেট এক বিশেষ জায়গা। সেখানে অমর জওয়ান জ্যোতি রেখেও ওয়ার মেমোরিয়ালে আর একটি জ্যোতি জ্বালানো যেত। এদিকে রাজনৈতিক মহলের মতামত, অমর জওয়ান জ্যোতি ইস্যুতে নতুন করে হালে পানি ফিরে পেতে চাইছে কংগ্রেস।
Padma Award: পদ্মবিভূষণ সম্মান বিপিন রাওয়াতকে, করোনা টিকা তৈরি করে পদ্ম সম্মানের তালিকায় পুনাওয়ালা
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে হওয়া মুক্তি যুদ্ধে ভারতের বহু জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। এরপর ১৯৭২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সেই সব শহিদ হওয়া বীর জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে অমর জওয়ান জ্যোতি উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিয়া গান্ধী। ১৯৭২ সালে সেই স্মারক তৈরির পর থেকে প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে অমর জওয়ান জ্যোতিতে শ্রদ্ধা জানান দেশের রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রধানমন্ত্রী, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা ও স্থলসেনার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেখানেই শ্রদ্ধা জানাতেন নরেন্দ্র মোদীও। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, অমর জওয়ান জ্যোতির যে আগুন জ্বলছে তার মাধ্যমে ১৯৭১ সাল ও অন্য যুদ্ধগুলিতে শহিদ হওয়া জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। কিন্তু, সেখানে ১৯৭১ সাল ছাড়া আর অন্য কোনও যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের নাম নেই।