সংক্ষিপ্ত
বুধবার মোট ১৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৫০ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায় কলকাতা বিমানবন্দরে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগবাজার কেন্দ্রীয় স্টোরে নিয়ে যাওয়া হয় এই ভ্যাকসিন।
স্বস্তির খবর। রাজ্যে টিকার (corona vaccine) আকালে বন্ধ হতে বসেছিল করোনা টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি। তবে বুধবার ফের বাংলায় এসে পৌঁছল করোনা টিকা। পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute) থেকে দুই দফায় টিকা আসে এদিন।
বুধবার মোট ১৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৫০ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায় কলকাতা বিমানবন্দরে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগবাজার কেন্দ্রীয় স্টোরে নিয়ে যাওয়া হয় এই ভ্যাকসিন। তারপর সেখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হবে। এই টিকা বন্টনের ফলে রাজ্যে টিকার আকাল মিটতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবারই কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, টিকার মজুত শেষ। কলকাতা পুরসভার হাতে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনটিকা আর নেই। যে পরিমাণ বেঁচে রয়েছে, তা দিয়ে খুব বেশি হলে আগামী দুদিন টিকা দেওয়া যাবে।
কলকাতা পুরসভা জানায় এখনও এক থেকে দেড় লক্ষ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে, যা দিয়ে আগামী দুদিন সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। তারপরেই বন্ধ করে দিতে হবে টিকাকরণ। এরপরেও যদি ভ্যাকসিন না আসে তবে টিকাকরণ কতদিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, তা জানাতে পারছে না কলকাতা পুরসভা। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি অভাব দেখা দিয়েছে সিরিঞ্জের। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত কোম্পানি সিরিঞ্জ উৎপাদন করে তাদের বলা হয়েছে তারা দিন রাত করে উৎপাদন করতে। যাতে সরবরাহে ঘাটতি না পড়ে।
বেশ কতগুলি বিতর্কিত বিষয় তুলে আনেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র কম সংখ্যক ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে। তার মধ্যে যেহেতু উত্তরপ্রদেশে ভোট রয়েছে, তাই সেখানে বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে যে সমস্ত রাজ্যগুলি বিজেপি শাসিত সেখানেও বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে।
তবে বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বুধবারই কলকাতায় আসে সাড়ে চোদ্দ লক্ষেরও বেশি টিকা। যা দিয়ে আগামী বেশ কয়েকদিন টিকাকরণ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।