সংক্ষিপ্ত

ভাইরাল ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে শুরু হওয়া সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছেন সিটু নেতা তথা পলিটব্যুরো সদস্য তপন সেন।

ভরাডুবির শুরু ২০০৮ সাল থেকেই। শেষে ২০১১ সালে পুরোপুরি ভাবে ক্ষমতাও চলে গিয়েছিল নতুন শাসক তৃণমূলের হাতে। তারপর থেকেই পতনের শুরু। বর্তমানে গোটা রাজ্যে একজন বিধায়ক নেই সিপিআইএম-র (CPIM)। স্বাধনীতা পরবর্তী বাংলায় এত খারাপ অবস্থা সিপিএমের কবে হয়েছিল তা বিশেষ কেউ মনে করতে পারেন না। এদিকে একের পর এক নির্বাচনে শোচনীয় হার নিয়ে রাজ্য সম্মেলনে বসেছিলেন বাম নেতারা। কিন্তু সেখান থেকেও উঠে এল করুন ছবি। এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি(Sitaram Yechury), বিমান বসু(Biman Basu) সহ পলিটব্যুরোর সাত সদস্য। তিন দিনের এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্যই ছিল ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনা করা। কিন্তু সেখানেই দেখা যাচ্ছে আলোচনা চলাকালীন সময়েই ঘুমিয়ে পড়লেন এক বর্ষীয়ান বাম নেতা(Left Leaders)। বাকিদের মধ্যেও স্পষ্ট ক্লান্তির ছবি। যাই বর্তমানে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। 

ভাইরাল ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে শুরু হওয়া সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছেন সিটু নেতা তথা পলিটব্যুরো সদস্য তপন সেন। অদূরে বসেছিলেন সর্বভারতীয় কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা। তিনিও যেন নিদ্রাচ্ছন্ন। আর বিমান বসু বসে আছেন মাথা নিচু করে। এই ছবিই নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী হাসির রোল বয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। টিপ্পনি কেটে অনেকেই বলছেন, যে দলের নেতারাই ঘুমিয়ে, সেই দল আর কীভাবে পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় জাগবে। কেউ আবার বলছেন যে দলের শীর্ষ নেতারা নিজেরাই ঘুমিয়ে তার দলের কর্মী-সমর্থকদের ঘুম ভাঙবে কিভাবে?   প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে হেরেই চলেছে সিপিআইএম। সংগঠন কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে গোটা রাজ্যজুড়েই। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফ-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও ভাগ্যে জোটেনি একটিও আসন। উল্টে সংযুক্ত মোর্চার পাওয়া একটি আসনেই শান্তিতে থাকতে হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ৪ রাজ্যে বড় জয়ের পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বেকায়দায় পড়তে পারে বিজেপি, কেন এমন বললেন মমতা

আরও পড়ুন- বিধানসভায় অশান্তি পাকাতে মমমতাই উষ্কানি দিচ্ছেন, ফের চাঁচাছোল আক্রমণে শুভেন্দু

আরও পড়ুন- গল্প হলেও সত্যি, দ্য কাশ্মীর ফাইলসের এই ৩ অভিনেতা বাস্তবের মাটিতেও কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের সন্তান

যদিও শেষ পুরভোটে খানিকটা হলেও শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে বামেদের। এমনকী তরুণ সমাজের কাঁধে ভর করে খানিকটা হলেও ভোট বেড়েছে বামেদের। অনেকই বলছেন এবার বিদায় নেবার সময় এসেছে দলের প্রবীণ নেতাদের। ক্ষমতা ছাড়ার সময় হয়েছে তরুণ ব্রিগেডের হাতে। তা হলে অচিনের দলের জন্য আরও করুণ অবস্থা অপেক্ষা করে আছে। এদিকে এই ছবি ভাইরাল হওয়ার এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় বাম শীর্ষ নেতৃত্বকে। তবে এই ছবিতে যে দলের অস্বস্তি বেড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।