সংক্ষিপ্ত
শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার কালিকাপুর ও বিদ্যাধরপুর স্টেশনের মাঝে থাকা রেললাইনে ফাটল দেখতে পান স্থানীয়রা। ঠিক সেই সময় ওই লাইন ধরে ক্যানিং থেকে সোনারপুরের দিকে আসছিল একটি ট্রেন। এরপর লাল কাপড় দেখিয়ে ট্রেনটিকে দাঁড় করান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সপ্তাহের প্রথম (First Day of Week) দিনে বড় দুর্ঘটনা (Accident) এড়াল আপ সোনারপুর ক্যানিং লোকাল (Sonarpur Canning Local)। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এই ট্রেনের যাত্রীরা (Train Passenger)। সোমবার সকালে (Monday Morning) শিয়ালদা (Sealdah) দক্ষিণ শাখার কালিকাপুর ও বিদ্যাধরপুর স্টেশনের মাঝে থাকা রেললাইনে (Railline) ফাটল (Crack in Rail Line) দেখতে পান স্থানীয়রা। ঠিক সেই সময় ওই লাইন ধরে ক্যানিং থেকে সোনারপুরের দিকে আসছিল একটি ট্রেন (Train)। এরপর লাল কাপড় (Red Cloth) দেখিয়ে ট্রেনটিকে দাঁড় করান স্থানীয় বাসিন্দারা। চালক ও গার্ড ট্রেন থেকে নেমে দেখেন লাইনে ফাটল রয়েছে। তারপর লাইন মেরামতির কাজ শুরু হয়।
সকালের দৃশ্যটা ঠিক কেমন ছিল?
সোমবার সকাল। সপ্তাহের প্রথম দিন স্টেশনে যাত্রীদের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। ট্রেন ধরার তাড়া সবার চোখে মুখে। বহু যাত্রী ভিড় করেছিলেন প্ল্যাটফর্মে। এমনকী, ট্রেনও ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। ঠিক সেই সময় কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার চোখ যায় ট্রেনের লাইনের দিকে।
আরও পড়ুন- সকাল থেকেই হিমেল হাওয়ার স্রোত, রাতারাতি পারদ নামল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে
প্রথমে তাঁরা বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারেননি। তারপর একটু ভালো করে দেখেন যে লাইনে ফাটল ধরেছে। বড় বিপদ হতে পারে একথা চিন্তা করে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আর এই খবর চাউর হতেই লাইনে জড়ো হন অনেকেই। এরপর হাতে লাল কাপড় নিয়ে লাইনের উপরে তাঁরা দাঁড়িয়ে পড়েন। হাত তুলে ওই কাপড়টি নাড়তে শুরু করেন। সেই সময় ওই লাইন ধরে ছুটে আসছিল সাড়ে ৮টার আপ সোনারপুর ক্যানিং লোকাল। তারপর কোনওরকমে ওই লাইনের উপর দাঁড়িয়েই চিৎকার করতে শুরু করেন তাঁরা।
লাইনের উপর যাত্রীদের লাল কাপড় হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। এরপর ট্রেন থামিলে গার্ড ও চালক ট্রেন থেকে নেমে এসে দেখেন, লাইনে ফাটল ধরেছে। সঙ্গে সঙ্গে রেল দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ইঞ্জিনিয়াররা । রেল আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যান। এরপর ধীরে ধীরে ওই লাইন ধরে বেরিয়ে যায় আপ সোনারপুর ক্যানিং লোকাল। তড়িঘড়ি লাইন মেরামতির কাজ শুরু হয়। দ্রুত লাইন মেরামতির পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
সাত সকালে স্থানীয়দের তৎপরতায় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচে আপ ক্যানিং সোনারপুর লোকাল। মৃত্যুঞ্জয় দাস নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "আমি এখান দিয়ে দোকানে যাচ্ছিলাম দেখলাম যে একটা দিদি লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বলল যে লাইন ভাঙা রয়েছে। এরপর আমরা লাল কাপড় নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন দাঁড় করাই। ৮টার ট্রেন যাওয়ার পরই লাইনে ফাটল ধরে। তারপর আমরা সাড়ে ৮টার ট্রেনকে দাঁড় করাই। ট্রেনের চালক নেমে এসে লাইনটি দেখেন। তারপর গাড়িটি ধীরে ধীরে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।"