সংক্ষিপ্ত
সোমবার থেকে চালু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। সেইমতো এইদিন থেকেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা হয়।
সরকারি নির্দেশ মতন ১৬ই অগাষ্ট অর্থাৎ সোমবার থেকে চালু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। সেইমতো এইদিন থেকেই লক্ষীর ভান্ডার (Laxmi Bhandar) প্রকল্পের সূচনা হয়। ক্যানিং থানার এক নম্বর দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতে রায়বাঘিনী হাইস্কুলে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা শুরু হয়। লাইনে দেখা যায় কয়েক হাজার মহিলা ও পুরুষের ভিড়।
ভোর চারটে কেউ পাঁচটা থেকে এই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এই লাইনে না আছে কোন শারীরিক দূরত্ব (Physical Distance), না আছে মানুষের মুখে মাস্ক (Corona Norm)। যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, সেই সঙ্গে পরপর লকডাউন বিধি মানার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, সেখানে লক্ষীর ভান্ডারে নাম নথিভুক্ত করতে আসা মানুষদের তার কোন বালাই নেই। নজর নেই প্রশাসনেরও।
উল্লেখ্য, নিবার্চনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন আবার ক্ষমতায় এলে তফসিলি জাতি উপজাতি মহিলাদের ১০০০টাকা এবং সাধারণ মহিলাদের ৫০০টাকা করে দেওয়া হবে। তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মহিলাদের জন্য পূর্বঘোষিত প্রকল্প সোমবার থেকে শুরু করতে চলেছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার নামে এই প্রকল্প দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে সোমবার থেকে সারা রাজ্যে শুরু হতে চলেছে।
কিন্তু এই প্রকল্পে বাদ সেজেছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। বলা হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড না থাকলে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না মহিলারা। সে ক্ষেত্রে দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করার জন্যও বলা হয়েছে। আবার আগের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেও অনেকে কার্ড পাননি।