সংক্ষিপ্ত
জয়প্রকাশ ইস্যুতে গতকাল থেকেই জোরদার চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। এদিকে এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুলতে দেখা গেল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।
জয়প্রকাশ মজুমদারের শিবির বদলানো নিয়ে গতকাল থেকেই জোরদার চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। এদিকে এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুলতে দেখা গেল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে(BJP's all-India co-president Dilip Ghosh)। জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ কিছু পেশাদার লোক থাকেন। তারা যখন যেমন তখন তেমন। এর আগে উনি কংগ্রেস করতেন। পরের দিন বিজেপির হয়ে মিডিয়ায় বসলেন। আগে বলা হতো আযারাম গযারাম । ফুটবল ক্লাব চেঞ্জ করার মতো । কিছু লোক আসবে যাবে। এতে কিছু যায় আসে না।”
এদিকে দল ছাড়ার পরেও বিজেপি নিয়ে লাগাতার তোপ দাগতে দেখা যায় জয় প্রকাশকে। তাঁর সাফ দাবি, দলের যা অবস্থা তা দেখে সহজেই বলা যায় বিজেপি বর্তমানে আইসিইউতে আছে। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ দল আমরা দাঁড় করিয়েছি। পার্টি এখন গাড্ডায় পড়েছে। আমরা আবার সেটা নিয়ে বসব।” একইসাথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়ির সামনে থেকে ব্যারিকেড সরানো প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “অভিষেক এতোদিন ব্যারিকেড সরান নি কেন? হঠাৎ করে মনে হল মানুষের অসুবিধা হচ্ছে? একজনের জন্য রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। আমাদের প্রচারের জন্য ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নিষিদ্ধ এবং বর্জিত এলাকা করে রাখা হয়েছিল। উনি থাকেন বলে রাস্তা দিয়ে অন্য কেউ যাবে না? আমরা দিল্লী যাই। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনেও এভাবে রাস্তা আটকানো থাকেনা। এভাবে নিজেকে উঁচুতে থাকব এটা হয়না। যদি ভুল হয়ে থাকে, উনি মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন।”
আরও পড়ুন- ‘নিজেদের সীমারেখা বুঝুন’, নজরুল মঞ্চ থেকেই ফের সংবাদমাধ্যকে হুঁশিয়ারি মমতার
আরও পড়ুন- যুদ্ধ আবহে তরনী মোহনের লোক সঙ্গীতেই শান্তির বার্তা, নতুন গান নিয়ে জোর চর্চা সঙ্গীত মহলে
আরও পড়ুন- নারী ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান এই ২৯ মহীয়সীর, নারী দিবসেই নারী শক্তি পুরষ্কার রাষ্ট্রপতির
পাশাপাশি তৃণমূলের এক ব্যক্তি পদ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এক ব্যাক্তি এক পদ তৃণমূল কংগ্রেসে সম্ভব নয়। আমরা করি বলে ওরাও লোক দেখানো করেছিল। উনি চার পাঁচ জন লোকের বেশি কাউকে বিশ্বাস করেন না। বেশী লোক কন্ট্রোল করা মুস্কিল। কারণ পার্টিটা পারিবারিক পার্টি।” এদিকে বিজেপির অন্দরেই বিক্ষুব্ধরাও জয়প্রকাশ নিয়ে ফাঁপরে পড়েছেন। কারণ তারাও শেষ মুহুর্তে জানতেন না উনি দল বদল করছেন। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ বিক্ষুব্ধরাই ঠিক করুন তারা কি করবেন। পার্টিকে বিশ্বাস করবেন নাকি কোনো ব্যক্তিকে। কেউ যদি নিজেকে বিক্ষুব্ধ মনে করেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই।কারো সাথে দ্বিমত হতে পারে। কেউ মনে করতে পারে তার সাথে সুবিচার হয়নি তারজন্য জায়গা আছে। অপেক্ষা করতে হবে।”
আরও পড়ুন- বেসরকারি কলেজেও সরকারির খরচ, ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য বড় ঘোষণা কেন্দ্রের