সংক্ষিপ্ত
- পেটে লাথি মেরেছে করোনাভাইরাস
- দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত নেই
- বিকল্প রোজগার পথ বেছে নিলেন তাঁরা
- ছৌ মুখোশের আদলে মুখোশ-মাস্ক তৈরি
বুদ্ধদেব পাত্র, পুরুলিয়া-আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরই দুর্গাপুজো। প্রতিবছর প্রতিমা তৈরির জন্য বরাত থাকলেও এবছর নেই। তাই পুজোর মুখে রোজগারও বন্ধ। এই অবস্থায় বিকল্প পথ খুঁজে নিলেন পুরুলিয়ার প্রতিমা শিল্পীরা। করোনা মহামারির আবহে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে তাঁরা তৈরি করেছেন মুখোশ মাস্ক। সৌজন্য পুরুলিয়ার চড়িদা গ্রামের মুখোশ শিল্পীরা।
আরও পড়ুন-রেলকর্মীর শ্লীলতাহানি-মারধরের অভিযোগ, দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত নির্যাতিতার ভাই
পুরুলিয়া পর্যটন মানচিত্রেও অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে এই চড়িদা গ্রামটি। প্রতি বছর সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। পুজোর আগে কলকাতা ছাড়াও ঝাড়খন্ড থেকে গিয়ে ওই চড়িদা গ্রামে ভিড় করেন পর্যটকরা। তখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে ছৌ মুখোশ এবং দুর্গা প্রতিমা মূর্তি গড়ার কাজে ব্যস্ত থাকতেন তাঁরা। কিন্তু, এবছর করোনা মহামারির জেরে পর্যটকদের দেখা নেই। প্রতিমা তৈরির বরাতও পাননি তাঁরা। এই অবস্থায় রোজগারের পথও প্রায় বন্ধ। তাই তাঁরা বিকল্প পথ খুঁজলেন। তৈরি করলেন মুখোশ-মাস্ক।
আরও পড়ুন-২৫০ বছরের ঐতিহ্য, এবছর নমোনমো করেই হচ্ছে মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো
বাগমুণ্ডি থানা এলাকায় অবস্থিত এই গ্রামটি প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় এক একজন শিল্পী প্রতিবছর লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতেন। বাড়তি উপার্জনের জন্য সারা বছর তাঁরা অপেক্ষা করে থাকেন। কিন্তু করোনার থাবায় এবছর সবই গেছে। তাই বিকল্প পথ হিসেবে এই অভিনব মাস্ক তৈরি করলেন। বাংলা জুড়ে এই মাস্ক এখনও জনপ্রিয়তা পাইনি। তবে, প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ডে এর চাহিদা প্রচুর। করোনা সুরক্ষায় এই মাস্ক জনপ্রিয় করে তুলতে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।