সংক্ষিপ্ত

রাত ১২টা নাগাদ গ্রামবাসীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে  হাতিদের কোনও সমস্যা হয়েছে। সকালে মাঠে গিয়ে দেখতে পান আলুর জমি সব তছনছ হয়ে গিয়েছে। কুয়োতে পড়ে রয়েছে একটি হাতি। খবর পেয়ে বন দফতর সেখানে জেসিবি নিয়ে হাজির হয়।

খাবারের খোঁজে বেরিয়ে ছিল হাতির (Elephant) পাল। জঙ্গলের (Forest) পাশে আলুর জমিতে আলুর গাছ খেয়ে ফেরার পথে পাশেই থাকা কৃষিকাজের কুয়োতে (Well) পড়ে যায় একটি হাতি। রাতভর অন্য হাতিরা চেঁচিয়েও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। সোমবার সকালে তাকে উদ্ধার করতে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের (Agitation) মুখে পড়েন বন দফতরের (Forest Department) আধিকারিকরা। তবে প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় জেসিবি (JCB Machine) মেশিন দিয়ে কুয়ো কেটে উদ্ধার হয় ওই হাতিকে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির পাতাঝরিয়া এলাকায়।

গত কয়েকদিন ধরেই শালবনির ভীমপুর জঙ্গলে প্রায় ৩০ টি হাতির একটি দল রয়েছে। ব্যাপক তান্ডব চালাচ্ছিল আশপাশের চাষের জমি ও গ্রামগুলিতে। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল কয়েকদিন ধরে। এই পরিস্থিতি থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে রবিবার রাতে হাতির পালগুলিকে তাড়িয়ে অন্যত্র করার উদ্যোগও নিয়েছিল বন দফতর। কিন্তু, পুরো হাতির পাল এলাকা ছাড়েনি। কয়েকটি হাতি শালবনির পাতাঝরিয়া গ্রামের পাশে থাকা আলুর জমিতে নেমেছিল আলুর গাছ খেতে। ওই সময় কোনওভাবে আলুর জমির পাশে থাকা চাষের কাজের জন্য ব্যবহৃত একটি কুয়োতে রাতের অন্ধকারে পড়ে যায় একটি হাতি। তারপরই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায় অন্য হাতিগুলির। 

আরও পড়ুন- 'বামফ্রন্টের অতি আত্মবিশ্বাস ও অশোক ভট্টাচার্যের অহংকারই ডুবিয়েছে', বললেন কংগ্রেস নেতা

রাত ১২টা নাগাদ গ্রামবাসীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে  হাতিদের কোনও সমস্যা হয়েছে। সকালে মাঠে গিয়ে দেখতে পান আলুর জমি সব তছনছ হয়ে গিয়েছে। কুয়োতে পড়ে রয়েছে একটি হাতি। খবর পেয়ে বন দফতর সেখানে জেসিবি নিয়ে হাজির হয়। লালগড় ও পিড়াকাটা রেঞ্জের বনকর্তারা সেখানে হাজির হলে হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আশপাশের গ্রামের কৃষকরা তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। চরম উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। এরপর খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ।

আরও পড়ুন - 'বিধানননগরে মেয়র মমতা' - চমকে দিলেন সব্যসাচী, স্ত্রী পেলেন দিদির ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপহার

আরও পড়ুন- কলকাতার পর চার পুরভোটেও দ্বিতীয় স্থানে বামেরা, রাজ্যে বিরোধী মুখ বদলের ইঙ্গিত আরো তীব্র

কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কুয়োর চারদিক থেকে মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে, কুয়োতে জল ভরে হাতিকে কুয়ো থেকে বাইরে আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। তবে দীর্ঘক্ষণ সংকীর্ণ কুয়োতে পড়ে থেকে হাতিটি গুরুতর আহত হয়েছিল। ফলে কুয়ো থেকে বের করার পর সঠিকভাবে দাঁড়াতেও পারছিল না সে। দীর্ঘক্ষণ জল দিয়ে তাকে স্নান করিয়ে জেসিবি দিয়ে ঠেলে সরানো হয়। বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হাতিটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর তাকে বনে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।