সংক্ষিপ্ত

হাওড়ার ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জালান কমপ্লেক্সে আর আর প্রোটিন ও এগ্রো লিমিটেড নামক ভেজাল তেল তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয় সোমবার দুপুরে। বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েক হাজার লিটার ভেজাল সর্ষের তেল।

ভেজাল সর্ষের তেল তৈরির কারখানায় (factory of Contaminated mustard oil) অভিযান চালাল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (Enforcement Branch of Kolkata Police)। বাজেয়াপ্ত করা হল কয়েক হাজার লিটার নকল ভোজ্য সরষের তেল। 

হাওড়ার ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জালান কমপ্লেক্সে আর আর প্রোটিন ও এগ্রো লিমিটেড নামক ভেজাল তেল তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয় সোমবার দুপুরে। বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েক হাজার লিটার ভেজাল সর্ষের তেল। যার মধ্যে রয়েছে ১৫ লিটারের দু'ধরনের ২৬৬২ টিন, ১২টি করে ১ লিটারের ১১৩০ ও ২৪টি ৫০০ গ্রাম করে ১০৩ টি বাক্স। 

কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক জানান, সর্ষের তেলের সাথে অন্য তেল মিশিয়ে বাজারে ভেজাল তেল বিক্রি করত এই কোম্পানী। খবর পেয়ে এই কারখানায় তৈরি হওয়া তেলের নমুনা সংগ্ৰহ করে পরীক্ষা করা হয়। তাতে জানা যায় ভেজাল সর্ষের তেল তৈরি হচ্ছে এখানে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারখানাটি আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। 

এভাবে প্রকাশ্যে ভেজাল তেল বিক্রি হওয়ায়, রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে মানুষ সুস্থ থাকবেন, সেই চিন্তা সকলের। তারই মাঝে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল তেল। এতে কত মানুষের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। করোনা পরিস্থিতিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের রমরমা। সরষে তেলের বাজারে আগুন। মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে সরষে তেলের। আর সেই সুযোগেই রমরমিয়ে বিকোচ্ছে তুলনামূলক সস্তা ওই ভেজাল সরষের তেল।