সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশের বাসিন্দা হিসেবে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে তোলা হয় ওই কিশোরীকে। তাকে বহরমপুর শিলায়ন হোমে রাখা হয়। পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
কন্যাশ্রী যোদ্ধা হিসেবেই পরিচিত সে। বিদ্যালয়ে ভালো ছাত্রী হিসেবে তার বেশ পরিচিতি রয়েছে। নাম রয়েছে আধার কার্ডে। অথচ পুলিশের খাতায় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর বাসিন্দা ওই স্কুল ছাত্রী একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এই ঘটনায় অবাক খোদ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের প্রিন্সিপাল ম্যাজিস্ট্রেট অসীমানন্দ মণ্ডল। এদিকে এই মামলার শুনানিতে পুলিশ ও বোর্ড হাজিরা দিতে টালবাহানা করায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসাকে ভর্ৎসনা করেন তিনি।
কিশোরীর আইনজীবী গোলাম সোহরাব সাহেব বলেন, "আমার মক্কেল যে ভারতীয় নাগরিক সেই বিষয়ে যথেষ্ট পরিমাণ নথি বোর্ডের কাছে জমা করেছি। কিন্তু, কিশোরী যে বাংলাদেশি তার সমর্থনে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও রকম কাগজ জমা করতে পারেনি।" জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, জলঙ্গীর ওই কিশোরী সীমান্ত এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিল। সেই সময় ফরাজিপাড়া আউট পোষ্টের কাছ থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল তাকে।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃতীয় চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের, মিঠুন বাগদি খুনে পেশ নতুন চার্জশিট
বাংলাদেশের বাসিন্দা হিসেবে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে তোলা হয় ওই কিশোরীকে। তাকে বহরমপুর শিলায়ন হোমে রাখা হয়। পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। অভিযোগ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ওই কিশোরীকে আটক করলেও পুলিশ কোনও এক অজানা কারণে তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বোর্ডে পেশ করে। কিন্তু, কিশোরীর আইনজীবীর দাবি তার মক্কেলের আধার কার্ডে যাবতীয় বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। এমনকী, সে কোন স্কুলে পড়ে তারও প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ওই ছাত্রী যে কন্যাশ্রী যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে সেকথাও দাবি করেছেন তার আইনজীবী।
আরও পড়ুন- ভেদাভেদ ভুলে ফের 'দুয়ারে সরকার' শিবিরে হাজির বিজেপি, ফর্ম ফিলআপে সাহায্য বুথ সভাপতির
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের আগে শাহি-সাক্ষাৎ শুভেন্দুর, কথা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে
এই বিষয়ে কিশোরীর বাবা বলেন, "আমি অত্যন্ত সাধারণ মানুষ। পুলিশ কোনওরকম তদন্ত না করে আমার মেয়েকে বাংলাদেশি বলল কেন তা আমি বুঝতে পারছিনা। পুলিশের এই কাজের জন্য আমাদের অনেক বদনাম হয়েছে। আমার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এর পরিণাম কি হবে বুঝতে পারছি না।" এই পরিস্থিতিতে শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা।