সংক্ষিপ্ত
- সারা বছরের সংসারের খরচ ফল বিক্রির টাকায়
- এদিকে কার্যত লকডাউনে ট্রেন চলাচল যেমন বন্ধ
- আম-লিচু সময়ের মধ্যে বাজারে পাঠানো যাচ্ছে না
- যার জেরে কৃষকদের ব্যাপক লোকসান হচ্ছে
মহামারীর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত লকডাউনের সময়সীমা বাড়তে থাকার জেরে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রধান অর্থকারী কৃষি পণ্য আম,লিচুর রপ্তানি তে ব্যাপক ধাক্কায় চোখ কপালে উঠেছে চাষী থেকে জেলার প্রশাসনের কর্তাদের।
আরও পড়ুন, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের, সেঞ্চুরি হাঁকাবে কি কলকাতাও
জেলা কৃষি দপ্তর মারফত জানা যায়, জেলায় প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বাগানে আম ও ৪ হাজার হেক্টর জমিতে লিচু উৎপাদন হয়। আর এই বিপুল পরিমাণ আম লিচু চাষিরা ভিন রাজ্য থেকে শুরু করে দেশে রপ্তানি করে মোটা টাকা অর্জন করেন। কিন্তু লকডাউন উঠে গেলেও এবছর এই দুই ফলের আগের মতো চাহিদা বাইরের রাজ্যগুলিতে থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছেন। উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত জেলার লালগোলা, ভগবানগোলা, লালবাগ, জিয়াগঞ্জ, রেজিনগর সহ জেলার অধিকাংশ জায়গাতেই আম ও লিচু চাষ হয়। ওই সমস্ত এলাকার চাষিরা সারা বছর এই মরশুমের জন্যই মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার মরশুম এগিয়ে আসতেই তাঁদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। লালগোলার আমচাষি জহিরুল শেখ বলেন, 'সারা বছরের সংসারের খরচ চলে এই আম লিচুর বিক্রির টাকায়। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি লকডাউনে ট্রেন চলাচল যেমন বন্ধ,তেমনি যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক বিজি নিষেধ রয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণে আম প্রতিদিন গাছ থেকে পাড়া হলেও সে ক্ষেত্রে ঐ আম সময়ের মধ্যে বাজারে পাঠাতে না পারায় কৃষকদের ব্যাপক লোকসান হচ্ছে।'
আরও পড়ুন, কী ধরণের গুলি চলেছিল, আজ শীতলকুচিতে সিআইডি-র ফরেন্সিক ব্যালেন্সিক টিম
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের সুস্বাদু আমের কদর সারা রাজ্যেই রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির আম জেলায় চাষ হয়। চাষিরা বলেন, আম ও লিচু চাষ করেই অনেকেই সংসার চালান। লালবাগের চাষি বিমল সাহা বলেন, এবছর অনেক আম গাছের ফলন কম হবে বলে মনে হচ্ছে। তারপরে দাম না পাওয়া গেলে সমস্যা আরও বাড়বে"। মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি দপ্তরের মুখ্য কৃষি আধিকারিক তাপস কুন্ডু বলেন, এবছর অনেক আম গাছের দেরিতে মুকুল এসেছে। গুটি একটু দেরিতেই এসেছে। লিচুর গুটি ঠিক সময়ে এসেছে। এখন চাষিরা বাগান পরিচর্যা করতে ব্যস্ত আছেন। তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত কি হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।'