সংক্ষিপ্ত
- মরশুমের প্রথম ইলিশ এল দিঘায়
- ইলিশ বোঝাই একটি ট্রলার এসেছে
- ৫০০ কেজি ইলিশ পাওয়া গেছে
- খুশির হাওয়া মৎপ্রেমীদের মধ্যে
কিছুটা ধীর পায়ে হলেও বর্ষা এসেছে রাজ্যে। দিনভর পূবালী হাওয়া আর ইলসেগুড়ি বৃষ্টি। বর্ষার এই মরশুমে ভোজন রসিক বাঙালির মন চায় এক টুকরো ইলিশ মাছ। কখনও ভাপা তো কখনও ভাজা। কাঁচকলা বা বেগুন দিয়ে হালকা ঝোল হলেও মন্দ নয়। বৃষ্টিভেজা দিনে ভোজন রসিক সেই বাঙালির জন্যই সুখবর বয়ে নিয়ে এল বৃহস্পতিবারের পূবালী হাওয়া। দিঘার মৎসজীবীদের জালে উঠেছে বছরের প্রথম ইলিশ। এদিন দিঘা মোহনার বছরের প্রথম ইলিশ বোঝাই ট্রলারটি ঢোকে।তাতেই ব্যস্ততা তুঙ্গে দিঘার মৎস আড়তে। দিঘা শঙ্করপুর ফিসারম্যান অ্যাসোসিয়েন জানিয়েছে আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি ট্রালার এসে পৌঁছাবে ইলিশ নিয়ে।
দিঘা শঙ্করপুর ফিসারম্যান অ্যাসোসিয়েন জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত বিশাল পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যায়নি। মাত্র ৫০০ কোজি ইলিশ পাওয়া গেছে। তাই দাম একটি চড়াই রয়েছে। ৫০০-৬০০ গ্রাম ইলিশের দাম ৬০০ টাকা। আর ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকায়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও বেশি ইলিশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান হয়েছে। যোগান বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে বলেও আশা করেছেন স্থানীয় মৎসজীবীরা।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও বেশি কয়েকটি ইলিশ বোঝাই ট্রালার ফিরে আসবে বলেও আশা করছেন মৎসজীবীরা। তাঁরা জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আর দফায় দফায় লকডাউনের কারণেই তাঁদের ব্যবসা রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপর গতবছর আমফান আর চলতি বছর ঘূর্ণি ঝড় ইয়াসের দাপটে সমুদ্রে যাওয়ার ওপর টানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। সেই কারণেও কিছুটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। সেই কারণে জলের রুপোলি শস্যের প্রতীক্ষায় রয়েছেন তাঁরাও। জালে বেশি ইলিশ উঠলে রোজগারপতিও বাড়বে। কিছুটা কমিয়ে দেবে আর্থিক অনটক। তাই ভোজন রসিকের মতও মৎসজীবীরাও অন্যান্য বছরের মত চলতি বছরেও ইলিশের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তবে এবার ইলিশের দাম অনেকটাই চড়া হবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আনুসঙ্গিক খরচও বেড়েছে অনেকটা। তারওপর রয়েছে ফোঁড়েদের দৌরাত্ম্য। সবমিলিয়ে ইলিশ কতটা হাসি ফোটাবে বাঙালির মুখে তা নিয়ে কিছুটা হলেও সংশয় থেকে যাচ্ছে।