সংক্ষিপ্ত
ইটের দেওয়াল দেওয়া ওই কার্যালয়টি স্থানীয় জলের ক্যানেলের পাশে তৈরি করা হয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, প্রবল বর্ষণে বৃষ্টির জল গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়ে। এমনকী জল উপচে পড়ে ওই ক্যানেলেও। এদিকে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে ধীরে ধীরে সেই ক্যানালের মাটি ধুয়ে যেতে শুরু করে।
দু'দিন ধরে বৃষ্টি আর হয়নি। কিন্তু, তার আগের ভারী বৃষ্টির জেরে এখনও প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা। জলে ডুবে গিয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। বিপর্যস্ত জনজীবন। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। আর এবার টানা বৃষ্টির পর জলের তোড়ে 'তাসের ঘর'-এর মতো ভেঙে পড়ল মেদিনীপুর সদর ব্লকে তৃণমূলের কার্যালয়।
ভারী বৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এই জেলায়। সমস্যায় পড়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। বেশ কিছু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষকে আশ্রয় নিতে হয়েছে ত্রাণশিবিরে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক রশ্মি কমল, বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা। জানা গিয়েছে, অতিবর্ষণে জেলার ২০৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুর ওয়ার্ডে জলে ডুবে গিয়েছে। সরকারী হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ২২ হাজার ২০৪ জন মানুষ প্লাবনের জেরে সমস্যায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন- ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরে, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি
দু'দিন ধরে আর বৃষ্টি না হলেও এখনও বহু জায়গায় বৃষ্টির জল পেয়ে মাটির দেওয়াল নরম হয়ে রয়েছে। যে কোনও সময় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গড়বেতায় দেওয়াল চাপা পড়ে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এবার মেদিনীপুর সদর ব্লকে জলের তোড়ে ভেঙে পড়ল তৃণমূলের কার্যালয়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিশ্রীপাট এলাকায়।
আরও পড়ুন- বৃষ্টির জমা জল নয়, বিবাদেই বন্ধ মলদহের চাঁচলে বেসরকারি বাস পরিষেবা
ইটের দেওয়াল দেওয়া ওই কার্যালয়টি স্থানীয় জলের ক্যানেলের পাশে তৈরি করা হয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, প্রবল বর্ষণে বৃষ্টির জল গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়ে। এমনকী জল উপচে পড়ে ওই ক্যানেলেও। এদিকে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে ধীরে ধীরে সেই ক্যানালের মাটি ধুয়ে যেতে শুরু করে। ফলে নড়বড়ে হয়ে পড়ে ওই কার্যালয়। এরপর একপাশের মাটির আর কোনও অংশ অবশিষ্ট না থাকায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেই কার্যালয়ে। তখন অবশ্য তার মধ্যে কেউ ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। না হলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন- শহরের জমা জলের রহস্য ফাঁস,গার্ডেনরিচের ম্যানহোলের থেকে উদ্ধার বালির বস্তা-সিমেন্টের চাই
এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, কার্যালয়টি ২০১৮ সালে তৈরি হয়েছিল। এখান থেকেই দলের কাজকর্ম হত। কার্যালয়টি ভেঙে যাওয়ায় এখন কোথায় কাজ হবে সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। যদিও দ্রুতই কার্যালয়টি আবার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।