সংক্ষিপ্ত

  • সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাড়ছে বিপদ
  • বাঘের হামলায় প্রাণ যাচ্ছে মৎস্যজীবীদের
  • বেআইনি প্রবেশ রুখতে নজরদারি আরও বাড়াল বনদপ্তর
  • জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে চলছে সচেনতনতামূলক প্রচার 

পেটের দায়ে জঙ্গলে ঢুকলে আর রক্ষে নেই! বাঘের হামলায় মৃত্যুমিছিল অব্যাহত সুন্দরবনে। নদীতে মৎস্যজীবীদের বেআইনি প্রবেশ রুখতে এবার কড়া নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল বনদপ্তর। সচেতনতামূলক প্রচার চলছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতেও।

আরও পড়ুন: 'কিছুটা হলেও দুর্দশা খুচবে', পুরোহিত ভাতায় ঘোষণায় খুশির হাওয়া অনুব্রতের গড়ে

করোনা আতঙ্কে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে জীবন। লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে সুন্দরবন লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে ফিরে এসেছেন বহু মানুষ। জীবিকার টানে সুন্দরবনের জঙ্গলে, নদীতে, খাঁড়িতে মাছ কিংবা কাঁকড়া ধরতে যাচ্ছেন অনেকেই।  ফলে যা হওয়ার, তাই হচ্ছে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, করোনা আতঙ্কে মাঝে গত পাঁচ মাসে জঙ্গলে বাঘের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তেরোজন। তারমধ্যে গত সপ্তাহেই মারা গিয়েছেন তিনি। তাহলে উপায়? বাঘ ও মানুষের সংঘাত রুখতে নদীপথে সুন্দরবন নজরদারি আরও জোরদার করল বনদপ্তর।

আরও পড়ুন: দিনভর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, কলকাতা-সহ বেশকিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খাঁড়িতে নামানো হয়েছে দশটি বোট। সেই বোটে চেপে নজরদারি চালাবেন বনকর্মী ও যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যরা। শুধু তাই নয় , জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, বিলি করা হচ্ছে লিফলেটও।  বনদপ্তরের দাবি, জঙ্গলের যেসব সমস্ত এলাকায় মাছ বা কাঁকড়া ধরা নিষেধ, বেশি মাছ বা কাঁকড়া পাওয়ার লোভে সেইসব এলাকায় ঢুকে পড়ছেন মৎস্যজীবীরা। তাতে বিপদ বাড়ছে আরও। সাধারণ মানুষকে সচেতন করাই শুধু নয়, নিয়ম ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানা গিয়েছে।