সংক্ষিপ্ত

উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপিও। প্রচারে ঝড় তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের একাধিক তাবড় তাবড় মুখ। মাঠে নেমেছেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

ভোটের আবহে ফুটছে উত্তরপ্রদেশের মাটি। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে দু-দফার নির্বাচন। মোট সাত দফায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে এই রাজ্যে। এদিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপিকে সরাতে উঠেপড়ে লেগেছে বিরোধীরা। এদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপিও। প্রচারে ঝড় তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের একাধিক তাবড় তাবড় মুখ। মাঠে নেমেছেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সম্প্রতি সে রাজ্যে প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিলে হোলি এবং দীপাবলিতে দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে ঘরোয়া এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। এমনই কিছু জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরপ্রদেশের দিবিয়াপুরে একটি জনসভায় সম্বোধন করে শাহ বলেন, “হোলি ১৮ই মার্চ, হোলির শুভ দিনে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতায় আনুন, বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার আপনার বাড়িতে পৌঁছে যাবে৷ আগামী পাঁচ বছর কোনো কৃষককে বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে না।”

শাহ আরও দাবি করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ১.৬৭ কোটি মহিলাকে ঘরোয়া সিলিন্ডার দিয়েছেন। "বিজেপি উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের জন্য তার নির্বাচনী ইস্তেহারে মেয়েদের জন্য স্কুটির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ১.৪১ কোটি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে, এবং যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সময়ই প্রতিটি জেলা ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।" উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের জন্য আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে শাহ বলেছেন যে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের পরে সমাজবাদী পার্টি রাজ্য থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সমাজবাদী পার্টি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ৩০০ টিরও বেশি আসন নিয়ে বিজেপি সরকারের ভিত্তি স্থাপনের কাজ করেছে। তৃতীয় পর্যায়ে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে আরও বড় করতে হবে”।

 

এদিনই সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবকে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, “অখিলেশ (এসপি প্রধান) জিজ্ঞেস করুন আমরা কী করেছি? কারও যদি হলুদ রঙের চশমা থাকে, তবে তারা হলুদ রঙে সবকিছু দেখতে পাবে। অখিলেশ সরকারের আমলে বন্দুক এবং গুলি তৈরি হত, এখন 'গোলি'র পরিবর্তে 'গোল (গোলাবারুদ)' তৈরি করা হয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর জন্য।” এদিকে  উত্তরপ্রদেশে  প্রথম দফায় ভোট পার্সেন্টেজ বলছে এই দফায় ভোট পড়ে ৬০.১৭ শতাংশ। ওই সময় মথুরাতে ভোট পড়েছে ৬৩.২৮, মুজাফ্ফরনগরে ৬৫.৩৪ শতাংশ , শামলিতে পড়েছে ভোট ৬৯.৪২ শতাংশ,গৌতমবুদ্ধ নগরে ৫৬. ৭৩, গাজিয়াবাদে ৫৪.৭৭ শতাংশ, আগরায় ৬০.৩৩, মেরঠে ৬০.৯১ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফার ভোট পর্বও শেষ হয়েছে গতকাল। সেখানেও ভোট পার্সেন্টেজ প্রথম দফার মতোই।