সংক্ষিপ্ত

২০২১ সালের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুয়ারে সরকার শিবিরের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  দুয়ারে সরকারের সাফল্যের পর এবার ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হতে চলেছে দুয়ারে টিকা প্রকল্প। এই প্রকল্প চালু হলে টিকাকরণের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে মানুষ। 
 


২০২১ সালের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে দুয়ারে সরকার (Government at the door) শিবিরের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamta Banerjee)। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই মমতা সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্প জনতার দরবারে হয়ে যায় একেবারে সুপারহিট। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জহর, ১০০ দিনের কাজ-সহ মোট ১০টি প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়। এই সব প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অভাব-অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকায় শিবির করার কথাও ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাোধ্য়ায় (Mamta Banerjee)। দুয়ারের সরকারের (Government at the door) সাফল্যের পর এবার দরজায় কড়া নাড়বে করোনার টিকা (Covid Vaccine)। আরেকটু পরিস্কার করে বললে, দুয়ারে সরকারের (Government at the door) অন্যান্য পরিষেবার তালিকায় নয়া সংযোজন হতে চলেছে দুয়ারে টিকা (Duare Tika)। সরকারের তরফে নেওয়া এই নয়া উদ্যোগে আপনাকে আর কষ্ট করে টিকা (Covid Vaccine) নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা সরকারি হাসপাতালের সেই লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না।। আগামী ফেব্রুয়ারি (February) থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই দুয়ারে টিকা প্রকল্প (Door Vaccine Project) । 

আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে যে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হচ্ছে সেখানে চক্ষু পরীক্ষা থেকে ডায়বেটিস-সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে। সেই সঙ্গে এক্স রে বা ইসিজি প্রয়োজন হলে রোগীর নামও বাড়ি এসে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর আপনার নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারবেন রোগীরা।  শুক্রবার এই মর্মে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে জেলাশাসক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিকদের এই নির্দেশ পাঠান হয়েছে। এই একই দিনে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার অজয় চক্রবর্তী বলেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে স্বাস্থ্যদপ্তরকে যুক্ত করা হল। এলাকার কোনও একটি ক্লাব বা সংগঠন বা পঞ্চায়েত অফিসে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে। যারা এখনও পর্যন্ত করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ভ্যাকসিন পায়নি তাঁরা এই দুয়ারে টিকা প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে যাবে। এলাকার স্বাস্থ্য কর্মীরাই এই কাজে অংশ নেবেন। তিনি এই বিজ্ঞপ্তিতে মমতা সরকারের প্রশংসা করে বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবাকে জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ খুবই কার্যকরী হবে। আর তাঁর অনুপ্রেরণাতই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আগামী দিনে এই প্রকল্প আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। 

আরও পড়ুন-Intranasal Vaccine: করোনার টিকা নেওয়া যাবে নাক দিয়ে, পরীক্ষার অনুমতি পেল Bharat Biotech

আরও পড়ুন-Covid Vaccine: এবার থেকে খোলা বাজারে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন বিক্রি, জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী

আরও পড়ুন-COVID-19 Alert: ভারতে সক্রিয় ওমিক্রনের উপবংশ, সংক্রমণ রুখতে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ

করোনা পরিস্থিতি মাঝে বেশ কিছুটা স্থিতিশীল হলেও ফের করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণের হার ওঠা-নামা করছে। করোনার কামড়ে দুয়ারে সরকার প্রকল্প বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছিল। তবে বাংলা ফের ছন্দে ফিরবে সেই আশাতেই করোনাকালের মধ্যেই আবার দুয়ারে সরকার  এবং পাড়ায় সমাধান প্রকল্প শুরুর সময়সূচি জানিয়ে দেয় নবান্ন। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি। এই কর্মসূচীর আওতায় স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা হবে। ১৬ মার্চ থেকে সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।