সংক্ষিপ্ত
’ কালোবাজারি বন্ধ হোক' এই দাবিকে তুলে ধরে কৃষি দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখালো কৃষকেরা। সারের দামে কালোবাজারির অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি করে একাধিক দোকানে হানা দিলেন রাজ্যের সরকারি আধিকারিকরা।
মালদহ-তনুজ জৈনঃ- ’ কালোবাজারি বন্ধ হোক' এই দাবিকে তুলে ধরে কৃষি দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখালো কৃষকেরা। সারের দামে কালোবাজারির অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি করে একাধিক দোকানে হানা দিলেন রাজ্যের সরকারি আধিকারিকরা (Government officials)। কথা বললেন ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুপক্ষের সঙ্গে। মঙ্গলবার এমনই দৃশ্য ধরা পরলো মালদাহের চাঁচলের বিভিন্ন এলাকায়। সরোজমিনে সারের মান খতিয়ে দেখতে উপস্থিত ছিলেন চাঁচল মহাকুমা কৃষি আধিকারিক অতীন্দ্র মোদক, চাঁচল ১ নং ব্লক কৃষি আধিকারিক দীপঙ্কর দেব, মালদা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন,পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ শাহজান আলী সহ অন্যান্যরা। নির্ধারিত দামের চেয়ে কৃষকদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ পেয়ে দোকানে হানা দেন সরকারি আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক দিন ধরে শহর সহ গ্রাম্য এলাকার একাধিক দোকানে রাসায়নিক সারের কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে। চাষিরা দোকানে সার কিনতে গেলে তাদের কাছ থেকে দ্বিগুন পরিমানে সার বিক্রি করা হচ্ছে।এনিয়ে বহুবার কৃষি দপ্তর কে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। আজ শেষমেশ কৃষি দপ্তরের সামনে স্যার নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চাষিরা। অবিলম্বে সারের কালোবাজারি বন্ধ হোকএই দাবি নিয়ে মহকুমা ও কৃষি দপ্তর আধিকারিকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। আর এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে সরকারি আধিকারিকরা। আজ সমস্ত সারের দোকানগুলিতে তারা হানা দেন।
আরও পড়ুন, ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রের পর্দা ফাঁস, ডাকাতি-সহ জোড়া অপরাধের কিনারা করল বিধাননগর পুলিশ
এব্যাপারে সরকারি আধিকরিক অতীন মোদক বলেন, সারের কালোবাজারি হচ্ছে কিনা তা দেখতে আমরা সারের দোকানগুলিতে হানা দি। সারের একটা নির্দিষ্ট রেট আছে। ওই রেটেই মাল কিনবে। যদি কোনও দোকানদার না দেয়, অফিসে কমপ্লেন করবে।'এবারে মালদা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে দোকানগুলিতে হানা দি । একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে ব্যবসা করছেন। আমরা এদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিব। চাঁচলের পাহাড় পুরের সার বিক্রেতা শুভাশিস সাহা বলেন, বাজারে রাসায়নিক সারের কালো বাজারি রুখতে এদিন আমাদের দোকানে প্রশাসনের আদিকারিকেরা পরিদর্শনে আসেন। সব সারের মূল্য জানলেন। কিন্তু সারের কোম্পানি গুলো কিছু নতুন প্রোডাক্ট বের করলে তখনই সারের সাথে ওই প্রোডাক্ট যুক্ত করার ফলে সারের মূল্য বৃদ্ধি হয়ে যায় আর এখানেই কৃষকরা অভিযোগ করেন।