সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার রাতেই রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন কড়া নিরাপত্তায় রাজু সাহানিকে পেস করা হয় আসানসোল জেলা আদালতের তরুণকান্তি মণ্ডলের এজলাসে। দুই পক্ষের সাওয়াল জবাব শোনার পরই রাজুর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারপতি।

সানমার্গ চিটফান্ডকাণ্ডে ধৃত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গেল। আসানসোল জেলা আদালতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়ছে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাজু সাহানিকে আবারও আদালতে পেশ করতে হবে। রাজুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ১২০B, ৪৬৮, ৪০৬ ও ৪০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। 

শুক্রবার রাতেই রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন কড়া নিরাপত্তায় রাজু সাহানিকে পেস করা হয় আসানসোল জেলা আদালতের তরুণকান্তি মণ্ডলের এজলাসে। দুই পক্ষের সাওয়াল জবাব শোনার পরই রাজুর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারপতি। সিবিআই রাজুতে সাত দিনের হেফাজতে রেখেছিল। কিন্তু আদালত তাঁরে পাঁচ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। 


আদালতে সিবিআই -এর আইনজীবী দাবি করেন রাজু সাহানির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা পাওয়া গিয়েছে। সিবিআইএর দাবি রাজুর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতারের সময়ও রাজুর সঙ্গে ছিল নগদ ৪০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে একটি দেশি পিস্তল, চারটি ডেবিট কার্ড। এই তথ্য পেশ করে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান এই টাকার উৎস কি? কীভাবে টাকা কালেকশন করা হয়েছে? তা জানার জন্য তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি রাজুকে প্রভাবশালী আখ্যা দিয়ে সিবিআই-এর দাবি এখনও ছেড়ে দিলে তদন্ত ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। কারণ তিনি হালিশহরের মত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুরসভার প্রধান। 

পাল্টা যুক্তি হিসেবে রাজু সাহানির আইনজীবীর সওয়াল ছিল তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারা দেওয়া হয়েছে। যা সাধারণত সরকারি কর্মচারিদের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর মক্কেল সরকারি কর্মী নন। তিনি আরও বলেন ভারতীয় আইন অনুযায়ী বাড়িতে টাকা রাখা যাবে না এমন কোনও নির্দেশ নেই। তাঁর মক্কেল ব্যবসায়ী পরিবারের থেকে এসেছেন। তাই জন্য তার কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা থাকতে পারে। তিনি আরও দাবি করেন তাঁর মক্কেলকে ৪১ এ-র নোটিশ দেওয়া হয়নি। তাই কী করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি আরও অভিযোগ করেন তাঁর মক্কেলকে সার্চ ওয়ারেন্ট দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন সানমার্গের মালিক তাঁর মক্কেলের টাকা শোধ করে দিয়েছিল। সেই কাগজও সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এদিন আদালতের মধ্যেই রাজু সাহানির আইনজীবী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন বর্তমানে এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রশাসনের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। তাই কি তাঁর মক্কেলকেও টার্গেট করা হচ্ছে? এমনই প্রশ্ন তোলেন আদালতে। পাশাপাশি বলেন, নগদ টাকা বা পিস্তল সিজার লিস্টে আছে কি না তা আমরা দেখতে পায়নি।