সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার ইংরেজি বছরের শেষ দিনে, আর সেই কারণেই ভোর থেকে তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় করেছিলেন ভক্তরা। তারাপীঠে উপচে পড়েছিল ভক্তদের ভিড়। বছরের শেষ দিনে মা তারাকে পুজো দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভিড় করেছিলেন তাঁরা।
রাত পোহালেই নতুন বছর (New Year Eve)। আর সেই কারণেই বর্ষশেষ (End of the Year) ও বর্ষবরণের আনন্দে গা ভাসালেন সাধারণ মানুষ। এগিয়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার (Corona) নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron)। রাজ্যেও এই ভাইরাসে (Virus) আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বাড়ছে করোনা সংক্রমণও। আর আতঙ্ককে সঙ্গী করেই সকাল থেকেই আনন্দে গা ভাসালেন সাধারণ মানুষ। প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষশেষ ও বর্ষবরণকে মাথায় রেখে তারাপীঠ মন্দিরে (Tarapith Temple) দেখা গেল ভক্তদের ঢল।
শুক্রবার ইংরেজি বছরের শেষ দিনে, আর সেই কারণেই ভোর থেকে তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় করেছিলেন ভক্তরা। তারাপীঠে উপচে পড়েছিল ভক্তদের ভিড়। বছরের শেষ দিনে মা তারাকে পুজো দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভিড় করেছিলেন তাঁরা। তবে শুধুমাত্র জেলা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এবং ঝাড়খণ্ড থেকেও প্রচুর ভক্ত এদিন তারাপীঠ মন্দিরে মা তারাকে পুজো দেন। ভোর থেকেই মন্দিরে ভক্তদের লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া যায়।
এদিকে ভিড়ের মধ্যে অধিকাংশের মুখেই মাস্কের দেখা পাওয়া যায়নি। শিকেয় ওঠে দূরত্ববিধি। তীর্থক্ষেত্রের পাশাপাশি বর্তমানে তারাপীঠ পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। তাই পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি শীতের মরশুমে (Winter Season) সেখানে বহু পর্যটক ভিড় করেছেন। বনভোজন বা সপ্তাহান্তে হাওয়া বদলের জন্যও এখন তারাপীঠ সহ বীরভূমের (Birbhum) বিভিন্ন জায়গাতেই পর্যটকদের ভিড় লেগে রয়েছে।
২৫ ডিসেম্বরে থেকে সেই ভিড় শুরু হলেও আজ বছরের শেষ দিন সেই ভিড় কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। কার্যত করোনাকে হারিয়ে পুরোন বছরের সব গ্লানি মুছে ফেলে নতুন বছর যাতে ভালোভাবে কাটে সেই প্রার্থনা করছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। মাস্ক ছাড়া মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না পুণ্যার্থীদের। মন্দিরের সেবায়েত কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, "করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে আমরা সমস্ত ভক্ত, সেবায়েত ও মন্দিরে নিরাপত্তাকর্মীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছি। বেশ কিছু ভক্তের মন্দিরের মধ্যে মাস্ক খুলে ফেলার প্রবণতা রয়েছে। সেদিকে কড়া নজরদারি চলছে।""
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত বছর ভক্তদের ভিড় কম ছিল। কিন্তু এবার প্রচুর ভক্ত এসেছেন। ফলে ভক্তদের পুজো দেওয়ার ব্যবস্থাকে নিরাপদ করতে যেমন ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে মন্দির কমিটিকে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে মন্দিরের মধ্যেও ঘোষণা করা হচ্ছে। সেখানেও তাঁদের সরকারি নির্দেশ মতো করোনা বিধি মেনে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু, মন্দির থেকেই নেমেই মাস্ক থাকছে না কারও মুখে। কারও মাস্ক হাতে, তো কারও পকেটে বা ব্যাগে। মন্দির কমিটি সমাজিক দুরত্ববিধি মেনে পুজো দেওয়ার উপর জোর দিলেও সেই বিষয়ে কোনও গুরুত্ব না দিয়েই পুজো দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।