সংক্ষিপ্ত

  • শারীরিক দূরত্ব ভুলে বস্ত্রদান শিবিরে জমায়েত
  • জমায়েত শতাধিক মানুষের
  • পুলিশের সামনেই হল জমায়েত
  • ঈদ উপলক্ষ্যে আয়োজন করা বস্ত্রদান শিবিরে হুড়োহুড়ি

শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও দায় নেই। করোনা বিধি ভুলে বস্ত্র দান শিবিরে জমায়েত করলেন শতাধিক মানুষ। এমনই ছবি দেখা গেল রামপুরহাটে। দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে শতাধিক মানুষ জমায়েত করলেন ঈদ উপলক্ষ্যে আয়োজন করা বস্ত্রদান শিবিরে। পুলিশের সামনেই হল জমায়েত। 

তৃণমূল প্রভাবিত মমতাময় মানবিক স্টলের এই বস্ত্রদান শিবির নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে রামপুরহাট শহরে।
 দুঃস্থ মানুষদের হাতে জামা কাপড় তুলে দিতে তৃণমূল প্রভাবিত এক সংগঠন তিন বছর আগে মমতাময় মানবিক স্টল তৈরি করে। যার কর্ণধার তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সাধারন সম্পাদক আব্দুর রেকিব। রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়ে এই স্টল থেকে সারা বছর দুঃস্থ মানুষদের পুরনো বস্ত্র বিতরণ করা হয়ে থাকে। তবে দুর্গা পুজো এবং ঈদের আগে নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হয় দুঃস্থদের মধ্যে। 

করোনা অতিমারির কারণে রাজ্য সরকার সমস্ত রকম জমায়েতের উপর নির্দেশিকা জারি করেছে। সামজিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কোন ক্ষেত্রেই পঞ্চাশ জনের বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। সেই মর্মে মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড়ে দিনরাত মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। সেসবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেখানেই খোদ মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে রাস্তার উপর টেবিল চেয়ার লাগিয়ে বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠান করল ওই স্টল। 

পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে ওই সময় রাস্তা দিয়ে বাস, লরি যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান, তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, দলের রামপুরহাট শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায়, দলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন, ব্যবসায়ী আনন্দ আগরওয়াল সহ এক ঝাঁক তৃণমূল নেতা, কর্মী। 

অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি ছিলেন না। আব্দুর রেকিব বলেন, “বছর তিনেক ধরে আমরা মানবিক কাজ করে চলেছি। এদিন ৩০০ মহিলাকে শাড়ি এবং ৫০ জন পুরুষের হাতে লুঙ্গি তুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত ঈদ উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের মুখে হাসি ফোটাতেই এই আয়োজন”। 

দূরত্ববিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা আগের দিন নিয়ম মেনে দূরত্ববিধি পালন করে সাদা দাগ কেটে দিয়েছিলাম। আমাদের কর্মীরা মানুষকে সেই দাগে দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু কিছু মানুষ আগে বস্ত্র নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করায় কিছুটা গা ঘেঁষাঘেঁষি হয়েছিল”।