সংক্ষিপ্ত

খেলা হবে মডেলে মাঠে নামতে প্রার্থীদের উৎসাহ দিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। প্রত্যেক প্রার্থীর হাতে খেলা হবে শ্লোগানের প্রতীক হিসাবে একটি করে ফুটবল তুলে দিলেন তিনি।

মঙ্গলবার (Tuesday) আনুষ্ঠানিকভাবে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকার (Medinipur municipality election) তৃণমূলের (TMC) ১১ জন প্রার্থী (11 Candidates) মনোনয়ন জমা দিলেন। এর আগে তাঁরা সমবেত হয়েছিলেন মেদিনীপুর শহরের ফেডারেশন হলে। মনোনয়ন করে খেলা হবে মডেলে মাঠে নামতে প্রার্থীদের উৎসাহ দিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। প্রত্যেক প্রার্থীর হাতে খেলা হবে শ্লোগানের প্রতীক হিসাবে একটি করে ফুটবল তুলে দিলেন তিনি।  সকলকেই জোরকদমে মাঠে নামতে উৎসাহিত করেন জুন মালিয়া।

জুন মালিয়া বলেন-"দলের নির্ধারিত প্রার্থী নিয়ে কোনোরকম আর দ্বিধা নেই। সকলেই নেত্রীর নির্দেশে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও খেলা হবে। আমার নির্বাচনের সময় এনারা সকলেই লড়াই করেছিলেন। আমিও এনাদের সঙ্গে আছি, সেটা জানাতেই সকলের সঙ্গে মনোনয়ন প্রক্রিয়াতে শামিল হব। মেদিনীপুরের মানুষ পুনরায় সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করবেন এবারও।"

এদিকে, ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চারটি পুরনিগমে ভোট হবে। তার মধ্যে বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি ও আসানসোলে পুরোভোট হবে। আর এগুলির ফলপ্রকাশ হবে ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু, রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে ভোটের দিন এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। তবে ভোটের দিন ঘোষণা না হলেও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বিজেপি থেকে শুরু করে, তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবাই

পুরভোটের (Municipal Election) দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের পরই বকেয়া পুরসভায় ভোট হবে। আর সেই কারণেই শাসকদল (TMC) থেকে শুরু করে বিরোধীরা এখন জোরকদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। আসলে এই সময় প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা। 

এদিকে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১২৭টি পৌরসভার নির্বাচন। কিন্তু, প্রার্থী তালিকা নিয়ে রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে কোথাও কোথাও অসামঞ্জস্য ছিল, সেগুলি দূর করে রবিবারই দলের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা জেলা সভাপতিদের পাঠানো হয়েছে। সেখানে সুব্রত বক্সীর নিজের সই রয়েছে। ফলে প্রার্থী তালিকা নিয়ে নতুন করে অসন্তোষ বা বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।