সংক্ষিপ্ত

করোনার জেরে এতদিন মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবে গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হলেও সেখানে প্রবেশের জন্য ভক্তদের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ১০ জনের বেশি সেখানে প্রবেশ করা যাবে না। 

করোনাবিধি মেনে আগামীকাল থেকে খুলছে কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ। এখন থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ১০ জন করে ভক্তকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। ফুল ও মিষ্টি নিয়ে পুজো দিতে পারবেন তাঁরা। দিনে দু'বার করে খুলবে মন্দিরের দ্বার। সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত আর বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকবে। 

করোনার জেরে এতদিন মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবে গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হলেও সেখানে প্রবেশের জন্য ভক্তদের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ১০ জনের বেশি সেখানে প্রবেশ করা যাবে না। মন্দিরের মধ্যে যাতে বেশি জমায়েত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে মন্দির কর্তৃপক্ষকে। নবান্নের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে একথা জানানো হয়েছে।  

আরও পড়ুন- 'দু’মাস অন্তর দিল্লি আসব', রাজধানী ছাড়ার আগে বললেন মমতা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মন্দির। তখন ভক্তরা মন্দিরে যেতে পারছিলেন না। এক মাসের বেশি মন্দির বন্ধ থাকার পর ২২ জুন তা খুলে দেওয়া হয়েছিল। এতদিন সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা হচ্ছিল মন্দির। যদিও গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারছিলেন না ভক্তরা। আর এবার সেই নির্ঘণ্টে বদল আনছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে দিনে দু'বার করে ভক্তদের জন্য মন্দির খোলা হবে। পাশাপাশি তাঁরা গর্ভগৃহে ঢুকে পুজোও দিতে পারবেন। 

আরও পড়ুুন- যে কোনও দিন কাঁপবে কলকাতার মাটিও - ভারতের ৫৯ শতাংশ এলাকাই ভূমিকম্পপ্রবণ, তৈরি নতুন মানচিত্র

এখন রাজ্যে করোনার দাপট অনেকটাই কম। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কয়েকটি এলাকা। আর সেই কারণে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। যদিও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলি। আর পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়ার পরই ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল সেখানে। এমনকী, করোনাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছিল ঘোরাফেরা। সেই ছবি ধরা পড়েছিল রাজ্যের একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে। তারপরই তৎপর হয় প্রশাসন। সংক্রমণ যাতে কোনওভাবেই না বাড়ে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ করা হয়। পর্যটন দিঘা, দার্জিলিংয়ের মতো জায়গায় ঘুরতে গেলে প্রয়োজন করোনা টিকার দুটি ডোজের শংসাপত্র। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি তারাপীঠ, কঙ্কালীতলা মন্দিরেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর এবার বিধি মেনে খুলে দেওয়া হচ্ছে কালীঘাট মন্দির।  

আরও পড়ুন- আচমকাই সফরে বদল অভিষেকের, সোমবার বিপ্লবের রাজ্যে পা রাখবেন

YouTube video player