সংক্ষিপ্ত
বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তিনি। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এছাড়াও তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ তথা আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত।
আচমকাই বঙ্গ বিজেপিতে রদবদল। বাংলার বিজেপির নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বালুরঘাটের সুকান্ত মজুমদারকে।দায়িত্ব পেয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাবেন তিনি। প্রতিটি বিষয় একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে তবেই এগিয়ে নিয়ে যাবেন সংগঠনকে।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এখন প্রাক্তন। যদিও তাঁর মেয়াদ ছিল ২০২৩ সাল পর্যন্ত।কিন্তু ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে আচমকাই সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও তিনি তাঁর উত্তরসূরিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিয়ে বলেছেন ভারতীয় জনতাপার্টির নতুন রাজ্যসভাপতি হিসেবে ডক্টর সুকান্ত ঘোষকে স্বাগত জানাই। তাঁর সাফল্য কামনা করেন বলেও জানিয়েছেন।
সুকান্ত মজুমদারঃ
বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তিনি। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এছাড়াও তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ তথা আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত। একটা সময় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে ছিলেন মোহন ভাগবত। সেইসময় সংগঠন বিস্তারে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সুকান্ত মজুমদারের। মোহন ভাগবত তাঁর কাছ থেকেই সংগঠনের খোঁজ খবর নিতেন। ২০০৭ সালে উত্তরবঙ্গে সংগঠন শক্তিশালী হওয়ায় তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে পড়ে যান। সূত্রের খবর ভাগবতেরও অত্যান্ত স্নেহের পাত্র তিনি। এনআরসি, সিএএ নিয়ে সুকান্তের প্রাচারও নজর কেড়েছিল শীর্ষ নেতৃত্বের। সুকান্ত মজুমদারের আরও একটা পরিচয় রয়েছে তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর নিকট আত্মীয়- ভাইপো।
সূত্রের খবর বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠীর সদস্য তিনি। তাঁর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সুসম্পর্ক রয়েছে। বিজেপি রাজ্যের নতুন সভাপতি হিসেবে আগেই দিলীপ ঘোষের থেকে নাম চেয়েছিল। সেই তালিকায় তিনি সুকান্তের নাম রেখেছিলেন। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে বিজেপির অভাবনীয় সাফল্যের পরই দলের অন্দরে দাবি উঠেছিল উত্তরবঙ্গ থেকেই কাউকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হোক। সূত্রের খবর সবদিক বিচার বিবেচনা করে সুকান্ত মজুমদারের নাম নির্বাচন করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।