সংক্ষিপ্ত
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। তিনি কয়েক মাস ধরে তদন্তকারীদের ঘোল খাওয়াতে সক্ষম হলেও, এবার বিপাকে পড়তে চলেছেন।
দীর্ঘ জটিলতার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট হাতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছিল ইডি। দীর্ঘ টালবাহানার পর তাঁর কণ্ঠস্বর রেকর্ড করা সম্ভব হয়। সেই কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখার জন্য কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই মুখবন্ধ খামে ইডি-র কাছে এল রিপোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এই কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর যদি মিলে যায়, তাহলে অকাট্য প্রমাণ পেশ করতে পারবে ইডি। সেক্ষেত্রে তদন্ত অন্যদিকে মোড় নেবে।
কী আছে রিপোর্টে?
ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি থেকে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে কী বলা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানাননি ইডি আধিকারিকরা। তবে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে,এর আগে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের যে নমুনা পাওয়া গিয়েছিল, তার সঙ্গে রেকর্ড করা কণ্ঠ মিলে গিয়েছে বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ফলে আদালতে এই রিপোর্ট পেশ করা যাবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট আদালতে গ্রাহ্য হবে বলেই আশা ইডি আধিকারিকদের।
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ
২০২৩ সালের ৩০ মে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপরেই অসুস্থতার কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। অসুস্থতার অজুহাতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা বারবার পিছিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত এ বছরের ৩ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনা পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। এবার সেই রিপোর্ট পেল ইডি। এর ফলে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত অনেকটা এগিয়ে গেল বলেই মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বেআইনিভাবে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড, লালবাজারে ইডির বিরুদ্ধে নালিশ কালীঘাটের কাকুর সংস্থার
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠি পাঠাতেন ‘কালীঘাটের কাকু’, লেখায় রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নাম