সংক্ষিপ্ত

সরকারি স্তরে প্রথম নীলরতন সরকার মে়ডিক্যাল কলেজে শুরু হল 'প্লেটলেট রিচ থেরাপি'। এই হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট থেরাপিতে চুল গজাবে একদম ভিতর থেকে।

মাথায় টাক পড়েগেছে! পরচুলা পরে ঘুরতে হচ্ছে! এবার চিন্তা করার দিন শেষ। আবার থেকে সরকারি হাসপাতালে শুরু হয়ে যাচ্ছে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট থেরাপি। এক কথায় সস্তায় পুষ্টি! কারণ এতদিন এই কাজটি একাধিক বেসরকারি সংস্থা করত। কিন্তু তার জন্য গুণতে হত হাজার হাজার টাকা

সরকারি স্তরে প্রথম নীলরতন সরকার মে়ডিক্যাল কলেজে শুরু হল 'প্লেটলেট রিচ থেরাপি'। এই হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট থেরাপিতে চুল গজাবে একদম ভিতর থেকে। টানলেও তা খুলে যাবে না। নীলরতন সরকার মেডিক‌্যাল কলেজের ত্বকরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অরুণ আচার জানিয়েছেন, এই প্লেটলেট রিচ থেরাপির জন‌্য অনেকগুলো ‘সিটিং’ লাগে রোগীর।

বেসরকারি সংস্থা বা হাসপাতালে এই প্রক্রিয়ার জন্য নূন্যতম খরচ করতে হয় ৮ হাজার টাকা। কিন্তু নীলরতন সরকারে একদমই বিনামূল্যই দেওয়া হচ্ছে এই পরিষেবা। হাসপাতাল জানিয়েছে, অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

চিকিৎসর অরুণ আচার জানিয়েছেন, এই থেরাপিতে প্রথমে রোগীর ২০ এমএল রক্ত নেওয়া হয়। তারপর বিশেষ প্রক্রিয়ায় তা থেকে আলাদা করা হয় প্লেটলেট। মাথার মধ্যে যেখানে চুল নেই, সেখানে ইনজেক্ট করা হয় ওই প্লেটলেট। একবার নয়, তিনবার, প্রয়োজনে তারও বেশি। প্রতি মাসে একটা করে ‘সিটিং’ হয়। প্রত্যেকবার ইনজেক্ট করে দেখা হয় কতটা চুল গজাল। এই প্লেটলেটের মধ্যে একটা গ্রোথ ফ‌্যাক্টর থাকে। তাই সাহায‌্য করে মাথায় চুল গজাতে। নতুন চুলে কিছু মাখতেও বাধা নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই নতুন গজানো চুলে শ‌্যাম্পুও করা যাবে। সাধারণত ন্যূনতম তিনটি ‘সিটিং’ লাগে চুল গজানোর জন‌্য। অনেকের ক্ষেত্রে তা একটু বেশিও লাগতে পারে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান গয়েছে তাঁরা মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকেই সাহায্য করতে চান। সরকারি হাসপাতালের সেটাই লক্ষ্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।