সংক্ষিপ্ত

রবিবাসরীয় সকালে উত্তপ্ত ভবানীপুর। নির্বাচনী প্রচার সারতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হলেন দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম।

রবিবাসরীয় সকালে উত্তপ্ত ভবানীপুর। নির্বাচনী প্রচার সারতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হলেন দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম।

আর মাত্র বাকি এক দফা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে শেষমুহূর্তে ঝড় তুলছেন প্রার্থীরা। আর সেই নির্বাচনী প্রচার সারতে গিয়েই এবার বাধার সম্মুখীন হলেন দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম।

শনিবারই রাজ্যে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ত্রাস এবং নানা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর সামনে এসেছে। কোথাও অভিযুক্ত শাসক দল, আবার কোথাও অভিযোগের তীর বিরোধীদের দিকে। আর এবার ভোট প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। তাকে কেন্দ্র করেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন বাম কর্মী এবং সমর্থকরা।

রবিবার সকালে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্রচারে যান দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। কালীঘাটের কাছে ভবানীপুর এলাকার এই অঞ্চলটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া হিসেবে পরিচিত।

সেই অঞ্চলেই প্রচারে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হলেন বাম প্রার্থী। প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন গতবারের সাংসদ মালা রায়। এছাড়াও বিজেপির হয়ে এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করছেন দেবশ্রী চৌধুরী। সেই কেন্দ্রেই প্রচারে আটকানো হল সায়রাকে। এদিন সকালে তাঁর সঙ্গে প্রচারে উপস্থিত ছিলেন বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষি মুখার্জি এবং আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি। যিনি নিজে এই লোকসভা নির্বাচনে হাওড়া কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সিপিআই(এম)-এর হয়ে।

বামেদের অভিযোগ, পুলিশ জোর করে প্রচারে বাধা দিচ্ছে। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি এই অঞ্চলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি বলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই কোনওরকম রাজনৈতিক জমায়েত করতে দেওয়া যাবেনা। আর এরপরই বাম কর্মী, সমর্থক এবং নেতৃত্বরা তুমুল বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন পুলিশের সঙ্গে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে, শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি।

বাম প্রার্থী সায়রা একা এলাকায় ঢুকে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে লিফলেট দিতে চাইলেও পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, “প্রার্থী হিসেবে আমার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে লিফলেট দেওয়ার। পুলিশ জোর করে বাধা দিচ্ছে আমাকে।”

বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষি মুখার্জির অভিযোগ, “মমতা ব্যানার্জি নিজের পাড়ায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে ভয় পান। পুলিশকে বলছি, দয়া করে মেরুদন্ডটা লাগিয়ে নেবেন। নির্বাচন কমিশন ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে, চারবার ফোন করার পরেও তোলেনি। মমতা ব্যানার্জির পাড়া বলে তাঁর জমিদারি নয়। এ কী হাল রাজ্যের।”

সুতরাং একটা কথা পরিষ্কার যে, সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে রীতিমতো পারদ চড়তে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতির। তীব্র ঝামেলার পর শেষপর্যন্ত পাশের পাড়ায় প্রচার শুরু করেন বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।