সংক্ষিপ্ত

প্রচণ্ড গরম। চারিদিকে তীব্র দাবদাহ। সূর্যাস্তের পরেও যেন গরম কমছে না। নাভিশ্বাস ছুটছে সাধারণ মানুষের। এর মধ্যেই গত বছরের মতোই এই বছরেও জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

প্রচণ্ড গরম। চারিদিকে তীব্র দাবদাহ। সূর্যাস্তের পরেও যেন গরম কমছে না। নাভিশ্বাস ছুটছে সাধারণ মানুষের। এর মধ্যেই গত বছরের মতোই এই বছরেও জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

কাউকে জানিয়েই লাভ হচ্ছে না। বলে জানাচ্ছেন লোডশেডিং-এ ভোগা মানুষজন। এ বারও কি এই প্রখর তাপে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে বাঁচতে হবে?

সিইএসসি-র তরফে যদিও দাবি করা হয়েছে, "বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানে সমস্যা নেই। কিছু জায়গায় ফিউজ়ের গন্ডগোল হয়েছে (লাইনে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় ফিউজ় জ্বলে বাকি কিছুকে রক্ষা করে)। সেটা শীতকালেও হতে পারে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা আবার এই বিভ্রাটের জন্য দায়ী করছে বেআইনি সংযোগ ও আবেদনহীন এসি-র ব্যবহারকে।"

বুধবার রাত থেকেই সিইএসসি-র বিরুদ্ধে লেখা পোস্টে ভরে গিয়েছে সামাজিক মাধ্যম। মূলত উত্তর এবং দক্ষিণ দমদম, সিঁথি এলাকা থেকে এই ধরনের পোস্ট বেশি করেছেন গ্রাহকেরা।

দমদম বিমানবন্দরের ২ নম্বর গেটের কাছে মতিলাল কলোনির এক বাসিন্দা সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, "বুধবার মধ্যরাত থেকে আমাদের পাড়া বিদ্যুৎ সংযোগহীন। প্রায় ১০ ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে, সব রকম ভাবে সিইএসসি-কে জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি। শুধু কাজ চলছে জানিয়েই দায় সারছে তারা।"

সিইএসসি-র তরফে এই সংস্থার এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন সার্ভিসেস) অভিজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানে কোনও বিরোধ নেই। সাফল্যের সঙ্গেই চাহিদা মেটানো গিয়েছে। কিছু জায়গায় ফিউজ়ের গন্ডগোল হয়। এটা শীতেও হতে পারে। এটাকে সার্বিক করে দেখা উচিত নয়।’’

তবে এই দাবি মানতে নারাজভুক্তভোগীরা । একই রকম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকার অভিযোগ এসেছে রাজারহাটের জগদীশপুর, বনমালিপুর, নারায়ণপুরের তেঁতুলতলা, লালকুঠি অঞ্চল, এমনকি বিধাননগর পুর এলাকা থেকেও।

সিএসসির চিফ ইঞ্জিনিয়ার (দক্ষিণ) পার্থ দত্তের দাবি, “বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিদ্যুতের বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদন না করে এসি বসানোয় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। বেআইনি সংযোগ নিয়ে গ্রাহকেরা সচেতন হোন, এই প্রত্যাশা করব।”