'গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে যেত!' রায় শুনে হাত জোড় করে চিৎকার সঞ্জয়ের
- FB
- TW
- Linkdin
আরজি কর মামলার রায়দান
আরজি কর হত্যাকাণ্ডের রায়দান করল শিয়ালদ আদালত। শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস রায়দান করেছেন।
দোষী সাব্যস্ত
আরজি কর হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে একমাত্র অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে।
সাজা ঘোষণা
আগামী সোমবার ২০ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা করবেন শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস।
সঞ্জয় রায়ের প্রতিক্রিয়া
রায় শোনার পরই আদালতের মধ্যেই সঞ্জয় রায় চিৎকার করতে শুরু করে। নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করে।
সঞ্জয় রায় নির্দোষ!
রায়দানের পরই সঞ্জয় রায় বলেন, 'আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।' সে আরও বলেন, তার গলায় রয়েছে রুদ্রাক্ষের মালা।
সাজা ঘোষণা
সঞ্জয়ের উদ্দেশ্যে আদালতে বিচারক বলেন, 'আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপনি ৯ অগস্ট ভোরের দিকে আরজি কর হাসপাতালে ঢুকেছিলেন। সেখানে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করার পর চিকিৎসককে আক্রমণ করেছেন। তাঁর মুখ চেপে ধরেছেন। তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১) ধারায় আপনার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। আপনার অপরাধ প্রমাণিত। আপনাকে এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে।'
পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিচারকের
সঞ্জয় পাল্টা নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তার বক্তব্য শুনে বিচারক জনিয়েছেন সোমবার তিনি সঞ্জয়ের কথা শুনবেন। এই দিনই বেলা সাড়ে ১২টায় সাজা ঘোষণা করা হবে।
বিচারকের বক্তব্য
বিচারক আরও বলেন, 'ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। যে ভাবে আপনি নির্যাতিতাকে মেরেছেন, তাতে আপনার সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। আমি বাকি কথা সোমবার শুনব।'
সঞ্জয়ের চিৎকার
রায় শুনেই চিৎকার করে সঞ্জয়। সে বলে, 'আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। আমি যদি ওখানে সত্যিই কিছু করতাম, মালা তো ছিঁড়ে যেত।'
সঞ্জয়ের আরও দাবি
বিচারক বলেন, সিবিআই আর সাক্ষীদের বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই এই রায়দান করা হয়েছে। শাস্তি সঞ্জয়কে পেতেই হবে। তারপরই সঞ্জয় নিজেকে গরিব বলে দাবি করে জানায় সে এই কাজ করেনি। তার বক্তব্য, 'যারা করেছে তাদের কেন ছাড়া হচ্ছে?' তারপর পুলিশ সঞ্জয়কে জোর করেই বের করে নিয়ে যায়।