একদা বাম দুর্গ শিলিগুড়ি পুরনিগম ভোটে বিরাট জয় পেয়েছে তৃণমূল। আর ভোটে জিতেই শিলিগুড়িকে আরও ঝকঝকে করে গড়ে তোলার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনদিনের সফরে সোমবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছান তিনি। এদিন বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এরপর সোজা উত্তরকন্যার উদ্দেশ্যে রওনা হন। যাওয়ার পথে নৌকাঘাটে নেমে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, "উত্তরবঙ্গে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কলকাতা, রাজারহাট যেমন চকচক করছে, তেমনই শিলিগুড়িকেও আরও ঝকঝকে চকচকে করে গড়ে তুলতে হবে।"
পুরভোটে বিপুল জয় তৃণমূলের, আসানসোলে জয়ী নির্ধারণ করতে হচ্ছে টস
সোমবার সকাল ৮টা থেকে চার পুরনিগমের ভোট (WB Municipal Elections 2022) গণনা (Counting) শুরু হবে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সকাল ৭টার মধ্যেই গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণনাকেন্দ্র ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকবে প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে।
- FB
- TW
- Linkdin
পুরভোটের ফল ঘোষণার পর ৩ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমি মানুষের কাছে খুব কৃতজ্ঞ। বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর, কলকাতা কর্পোরেশন। আগামী দিনে আরও ১০৬ টা পুরভোট আছে। সাধারণ মানুষের পরিষেবা বাংলাকে সবুজায়ন, শিল্প, সমৃদ্ধ, মায়ের সম্মান, ছাত্র যৌবনের সম্মান, শ্রমিক কৃষকের ভালোবাসা, সর্বধর্ম সমোন্নয়ের মধ্য দিয়ে আমরা করে চলেছি এবং করে যাব।"
চন্দননগরের সবুজ ঝড়ে খুশি ইন্দ্রনীল সেন। তিনি এদিন বলেন 'এক থেকে দশ তৃণমূলের।'
বাম দুর্গ হিসেবেই পরিচিত ছিল শিলিগুড়ি। কিন্তু, এবার পুরভোটে সেখানে বামেদের ফলাফল একেবারেই ভালো হয়নি। তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ আলমের কাছে পরাজিত হয়েছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। ৫০২ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। আর এই ফলাফলকে 'বিপর্যয়' বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, "এই ফলাফল বিপর্যয়কর। বাকি ফলাফলও খুব একটা ভালো হবে না। আমরা যে আশা করেছিলাম, তা পূরণ হয়নি।"
শিলিগুড়ির পুরভোটে তৃণমূলের এই সাফল্যের জন্য বামফ্রন্টকে দায়ী করলেন কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকার। তিনি বলেন, "বামফ্রন্টের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও অশোক ভট্টাচার্যের অহংকারই ডুবিয়েছে। বারবার জোটের কথা বলেও তারা আগেভাগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলেছে। জোট বেঁধে কংগ্রেস-বাম লড়াই করলে ভোটারদের আস্থার অর্জন করতে পারা যেত। কিন্তু বামফ্রন্টের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও অহংকারই ডুবিয়েছে।"
বিধাননগরে বিপুল ভোটে জয় তৃণমূল কংগ্রেসের। মূলত এদিন সকাল থেকেই গণনার শুরুতেই এগিয়ে ছিলেন সব্যসাচী-কৃষ্ণারা। এবার জেতার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
পৌর নির্বাচনের ফলাফল তৃণমূলের দিকে ইতিবাচক হতেই মেদিনীপুর শহরের জেলাশাসকের দপ্তরে কর্মীদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে দীর্ঘক্ষন অবস্থানের পর, তাঁর দাবি,' পৌর নির্বাচনে পুরোপুরি প্রহসন হয়েছে।'দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমরা আগেই আশঙ্কা করে প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছিলাম। কোন পদক্ষেপ নেয়নি সেভাবে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ। যেমন আশঙ্কা করেছিল কাল সেই রকমই বিকৃত ফলাফল হয়েছে। আমরা তাই আদালতে গিয়েছি। এখন সিদ্ধান্ত আদালতে নেবে।'
আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটল বিরল ঘটনা। ভোট গণনার পর দেখা গেল বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট সমান সমান। এই ওয়ার্ডে জয়ী প্রার্থী নির্ধারিত হবে টস করে। ২টোর সময় হবে টস।
ফের মা-মাটি-মানুষের বিপুল জয়, টুইটে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
বিধাননগরের পুর প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত ৪০০০ বেশি ভোট জয় লাভ করেছেন। তিনি জানান এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ। তাঁর উন্নয়নের প্রতি মানুষের যে আস্থা আছে তার প্রতিফলন। বার্তা ফিরহাদের।
চন্দননগর পৌরসভায় ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি বাদ দিয়ে বাকি সবগুলি ওয়ার্ডেই জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। একটিমাত্র ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে বামেরা।
১ নং ওয়ার্ডে পাপিয়া সিংহ রায়, ২ নং ওয়ার্ডে মোহিত নন্দী, ৩ নং ওয়ার্ডে গীতাঞ্জলি শেঠ, ৪ নং ওয়ার্ডে অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ৫ নং ওয়ার্ডে মনিকা মন্ডল, ৬ নং ওয়ার্ডে মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ৭ নং ওয়ার্ডে পার্থ দত্ত, ৯ নং ওয়ার্ডে স্নিগ্ধা রায়, ১০ নং ওয়ার্ডে অজয় ঘোষ, ১১ নং ওয়ার্ডে মহম্মদ সামাদ আলি, ১২ নং ওয়ার্ডে ঋতুপর্ণা সাউ মন্ডল, ১৩ নং ওয়ার্ডে শুভজিত সাউ, ১৪ নং ওয়ার্ডে রঞ্জিত কুন্ডু, ১৫ নং ওয়ার্ডে মমতা দত্ত পাত্র, ১৮ নং ওয়ার্ডে সবিতা দাস, ১৯ নং ওয়ার্ডে সুপ্রীতি দত্ত, ২০ নং ওয়ার্ডে পীযুষ বিশ্বাস, ২৭ নং ওয়ার্ডে বিনয় কুমার সাউ, ২৯ নং ওয়ার্ডে বিমল পাত্র, ৩২ নং ওয়ার্ডে শুভ্রা দাস এবং ৩৩ নং ওয়ার্ডে সীমা দাস জয়ী হয়েছেন।
একমাত্র ১৬ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী অভিজিৎ সেন।
1 নং ওয়ার্ড পাপিয়া সিংহ রায়, 2 নং ওয়ার্ড মোহিত নন্দী, 3 নং ওয়ার্ড গীতাঞ্জলি শেঠ, 4 নং ওয়ার্ড অনিমেষ ব্যানার্জি, 5 নং ওয়ার্ড মনিকা মন্ডল, 6 ,মৌমিতা ব্যানার্জি, 7 ,পার্থ দত্ত, 9 নং ওয়ার্ড স্নিগ্ধা রায়, 10 নং ওয়ার্ড অজয় ঘোষ, 11 নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ সামাদ আলী, 12 নং ওয়ার্ড ঋতুপর্ণা সাউ মন্ডল, 13 নং ওয়ার্ড শুভজিত সাউ, 14 নং ওয়ার্ড রঞ্জিত কুন্ডু, 15 নং ওয়ার্ড মমতা দত্ত পাত্র, 16 নং ওয়ার্ড অভিজিৎ সেন(সিপিএম)18 নং ওয়ার্ড সবিতা দাস, 19 নং ওয়ার্ড সুপ্রীতি দত্ত, 20 নং ওয়ার্ড পীযুষ বিশ্বাস, 27 নং ওয়ার্ড বিনয় কুমার সাউ, 29 নং ওয়ার্ড বিমল পাত্র ,32 নং ওয়ার্ড শুভ্রা দাস, 33 নং ওয়ার্ড সীমা দাস
শিলিগুড়িতে গৌতম দেবকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। উল্লেখ্য, আগে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সাংবাদিকরা, যে কে হবেন বিধাননগরের মেয়র, কৃষ্ণা নাকি সব্যসাচী দত্ত। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন যে, এটা দল বিবেচনা করে ঠিক করবে। তবে পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিন শিলিগুড়িতে গৌতম দেবকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
শিলিগুড়িতে পরাজিত অশোক ভট্টাচার্য। ৬ নং ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ৫১০ ভোটে হারলেন বাম নেতা। ভোট যুদ্ধে হারলেন নান্টু পালও। ১২ নং ওয়ার্ডে বিজেপির হয়ে প্রতিন্দন্দ্বিতায় হারলেন তিনি। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয়।
২৪৩৮ ভোটে জয়ী ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রত্না ভৌমিক। বিধাননগরের পুরভোটে জোর টক্কর তৃণমূলের।
১১৩২ ভোট জয়ী ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বাণীব্রত ব্যানার্জী।
৬৬৮৩ ভোটে জিতে গেলেন বিধাননগর পৌরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সম্রাট বড়ুয়া
৩ হাজার ৯৯৭ ভোটে জিতে গেল বিধাননগর পৌরনিগম ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রাজেশ।
বিধাননগর পৌরনিগম ৪০৫২ ভোটে জিতে গেল 19 নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল প্রার্থী পিয়ালী সরকার
বিধাননগর পৌরনিগমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ৩০২৪ ভোটে জয়ী হল। ৯ রাউন্ড শেষে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী মমতা মণ্ডল ৯০০ ভোটে এগিয়ে