সংক্ষিপ্ত
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে প্রচুর শিল্পপতি চলে গেছে। কটাক্ষ করে তিনি বলেন এটাই বিজেপির উন্নয়নের মডেল। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একটিও আসন পাবে না বলেও জানিয়েছেন।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে যে এই রাজ্যের শাসক দল বিজেপি বিরোধী অবস্থান নেবে তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বিজেপিতে অপসরণ করুন। বিজেপিকে প্রত্যাক্ষাণ করুন।' বিজেপির পুরো শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতেও আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার জনগণের উন্নয়ন সাধণে পুরোপুরি ব্যার্থ হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জিএসটি, অগ্নিপথ প্রকল্পসহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ইস্যুতেও সরব হন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে বলেন বিজেপি নিজের সম্মান নিজেই রক্ষা করতে পারেনি। মুড়িসহ একাধিক ননব্র্যান্ডের খাবার সামগ্রীতে জিএসটি আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারই ভিত্তিতে মমতার প্রশ্ন তোলেন 'খাব কী?' তিনি আরও বলেন বর্তমানে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে যদি কোনও রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় তাহলে তারও জন্যও জিএসটি দিতে হবে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে প্রচুর শিল্পপতি চলে গেছে। কটাক্ষ করে তিনি বলেন এটাই বিজেপির উন্নয়নের মডেল। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একটিও আসন পাবে না বলেও জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায স্লোগান তোলেন, 'জয় বাংলা দিচ্ছে ডাক, জয় ভারত বেঁচে থাক।' তিনি বলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কারাগার ভেঙে ভারতের সাধারণ মানুষকে মুক্ত করা হবে। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসই হল ভারতের আদর্শ রাজনৈতিক দল। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ইডি, সিআইডি হল বিজেপির মেরুদণ্ড। তিনি বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সংস্থা কাউকেই ভয় পান না। এই মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার কাজও তিনি করছেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি। বলেন, অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে হবেয টাকা না দিলে দিল্লি গিয়ে ঘেরাও করা হবে।
গত দুই বছর কোভিড মহামারির কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ২১ জুলাই শহিদ দিবস অনুষ্ঠিত হয়নি। সেই কারণে এবার উদ্যোগ ছিল অনেকটাই বেশি। তিন আগে থেকেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছিলেন দূরদূরান্তের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর ছিল পুলিশ ও প্রশাসন। দুর্ঘটনার মোকাবিলা করার জন্য আগে থেকেই সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলিকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।