সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার সকালেই দেখা গিয়েছিল আইপ্যাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করা বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রীকে আনফলো করেছে প্রশান্তের সংস্থা।
প্রথমে আনফলো করা হয়েছিল। ফের শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী (TMC Supremo) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ফলো করতে শুরু করল পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট (Political Strategist) প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থা আইপ্যাক (Ipac)। অথচ শুক্রবার সকালেই দেখা গিয়েছিল আইপ্যাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করা বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রীকে আনফলো করেছে প্রশান্তের সংস্থা। এরপরেই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি মধুচন্দ্রিমা পর্ব শেষ। কারণ এমনিতেই মমতা ও দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বেশ কিছুটা দূরত্ব বেড়েছিল। জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি সেই বিচ্ছেদে সিলমোহর পড়ে গেল।
তবে শুক্রবার বেলা বাড়তেই খেলা ঘোরে। দেখা যায় ফের মমতাকে টুইটারে ফলো করতে শুরু করেছে আইপ্যাক। তার আগে মনে করা হচ্ছিল আইপ্যাকের সঙ্গে দলের সম্পর্ক না রাখা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আইপ্যাক মোট ৭৭টি ‘ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট’ ফলো করত। কিন্তু শুক্রবার সকালে দেখা যায় সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬য়ে। অর্থাৎ একটি টুইটার অ্যাকাউন্টকে ‘আনফলো’ করা হয়েছে। দেখা যায়, সেই আনফলো টুইটার অ্যাকাউন্ট হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তবে সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই ফের সংস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করতে শুরু করে। তাহলে কি ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার ভয়ে ফের টুইটারে ফলো করা শুরু হল, নাকি দুই পক্ষের সম্পর্কের উন্নতি এই পদক্ষেপের পিছনে কারণ, তা অবশ্য সময়ই বলবে।
আরও পড়ুনঃশিলিগুড়িতে তৃণমূল বা বিজেপি ক্ষমতায় এলে মেয়র নিয়ে চলবে টানাপোড়েন, তোপ অশোকের
আরও পড়ুনঃরবিবার ৬ ঘণ্টা বন্ধ বিদ্যাসাগর সেতু, জেনে নিন কোন পথে হবে যান চলাচল
উল্লেখ্য, প্রশান্তের সংস্থা আইপ্যাক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস আর রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গাঁধী, বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করে। এ ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন কিছু পরিচিত সাংবাদিকও। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েন তৃণমূল নেত্রী। তবে পরে ফের মমতাকে ফলো করতে শুরু করে আইপ্যাক।
সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেস, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাকের (I-PAC) সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে চলছে। যদিও আই-প্যাক এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে, তাদের সংস্থা যেমন তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করছিল এখনও ঠিক সেইভাবেই কাজ করে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এই বিষয়ে এখনও মুখ খুলতে রাজি নয়। তবে দলীয় সূত্রের খবর তৃণমূলও তলে তলে আই-প্যাকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার আলোচনা শুরু করেছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আচমকাই তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে গিয়েছিল। সেইস্থান দখল করেছিল বিজেপি। তারপরই তড়িঘড়ি দলের ক্ষত মেরামতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারস্থ হন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে। তাঁর সংস্থা আই-প্যাকের সঙ্গে চুক্তি করেন। তারপর সব বাধা কাটিয়ে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট সাফল্য পায় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখার চেষ্টা শুরু করেছিল তৃণমূল। তাতেই রীতিতমত সফল ঘাসফুল। গোয়া, মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পাবে বলেও আশা করেছেন দলের নেতারা।