সংক্ষিপ্ত
কুণাল ঘোষের এই টুইটের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন দলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের ফেসবুক পোস্টের রেশ কাটতে না কাটতেই বিতর্কিত টুইট অপরূপা পোদ্দারের। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্যরাজনীতি। অপরূপা পোদ্দারের টুইটটি এতটাই বিতর্তিত যে পোস্ট করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তিনি সেটি মুছে ফেলতেও বাধ্য হন। কিন্তু বিতর্কে থামেনি। পাল্টি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আক্রমণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রসকে। সরব হয়েছেন অধীর চৌধুরী ও রাহুল সিনাহার মত বর্ষিয়ান নেতারা।
কুণালের ফেসবুক- ২ মে, একবছর আগে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দিনের কথা স্মরণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসেবে তিনি বলতে পারেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ২০৩৬ সাল পর্যন্ত। জ্যোতি বসুর রাজত্বের রেকর্ড তিনি ভেঙে দেবেন। তারপর দলের উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করবেন তিনি। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অপরূপার টুইট- কুণাল ঘোষের এই টুইটের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন দলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি লেখেন, ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যদিও তিনি রাজ্যপালের নাম বিকৃত করেছেন। যাইহোক এই টুইট নিয়ে রীতিমত সরগরম হয় রাজ্যরাজনীতি। তিনি টুইট করার এক ঘণ্টা পরে পোস্টটি সরিয়েও ফেলেন। তবে বিতর্ক থামেনি।
বিরোধীদের বার্তা- বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর তর সইছে না। পারলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধাক্কা দিয়ে গদি থেকে নামিয়ে দেন। আর সেই গদিতে নিজেই বসে পড়বেন। টুইটে এজাতীয় মন্তব্য করতে শুরু করেছেন অভিষেক অনুগামীরা। অন্যদিকে প্রদেশস কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, অনেকেই স্বপ্নের জাল বুনতে পারেন। তারজন্য একটা ভিত্তি দরকার হয়। কিন্তু এটার কোনও ভিত্তি নেই। তিনি আরও বলেছেন তিনি জ্যোতিষ চর্চা করেন না। তাই এভাবে সাল তারিখ বলা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
রাজ্য রাজনীতিতে অভিষেকের ঘনিষ্টি হিসেবে পরিচিত অপরূপা পোদ্দার। আর কুণাল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। এর আগেও এজাতীয় সমস্যা তৈরি হয়েছিল দলের অন্দরে। যদিও সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া হাতে তা মিটিয়ে নিয়েছিলেন।