সংক্ষিপ্ত

তরুছায়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জওয়ানদের হাতে রাখি পরিয়ে মিষ্টি খাওয়ান। রাখিবন্ধন উৎসবের আনন্দ জওয়ানদের সাথে ভাগ করে নিতে সদস্যদের এই উদ্যোগ। 

রাখি বন্ধন উৎসবের দিনে জওয়ানদের হাতে রাখি পরিয়ে মিষ্টি মুখ করালো তরুছায়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। তরুছায়া ফাউন্ডেশনের (Taruchaya Foundation) সদস্যরা এদিন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল বর্ডারে গিয়ে কর্তব্যরত জওয়ানদের (BSF jawans) হাতে রাখি (Rakhi Bandhan festival) পরিয়ে মিষ্টি খাওয়ান। 

সারাবছর সীমান্তে জওয়ানরা নিজের পরিবার পরিজন ছেড়ে অতন্দ্র প্রহরীর মতো বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করে থাকে। সীমান্তে তাঁরা রাতের পর রাত জেগে কাটায়, যার সুবাদে দেশবাসী নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। জওয়ানদের এই আত্মত্যাগের জন্য আজ গোটা দেশ নিরাপদভাবে সমস্ত উৎসব উদযাপন করতে সমর্থ হচ্ছি। রাখিবন্ধন উৎসবের আনন্দ জওয়ানদের সাথে ভাগ করে নিতে তরুছায়া ফাউন্ডেশনের সদস্যদের এই উদ্যোগ। 

বিগত দিনেও এই সংগঠনের সদস্যরা সীমান্তরক্ষীদের সাথে রাখি বন্ধন উৎসব উদযাপন করে এসেছে। এই সংগঠনের এই উদ্যোগে খুশি হয়ে জওয়ানদের পক্ষ থেকেও সংগঠনের সদস্যদের মিষ্টি মুখ করানো হয় এবং কিছু উপহারও তুলে দেওয়া হয় সংগঠনের সদস্যাদের হাতে। মূলত বাংলার ঘরে ঘরে বোন ও দিদিরা তাদের দাদা ও ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করে থাকে।

তবে ১৯০৫ সালের ১৯ জুলাই তৎকালীন ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন বাংলায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে প্রতিহত করতে বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব ঘোষণা করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দিতে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে রাখি পরিয়ে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ রাখি বন্ধন উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। তারপর থেকে বাঙালি এই দিনটিকে আরও স্মরনীয় ভাবে পালন করে আসছে। 

তরুছায়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জওয়ানদের হাতে রাখি পরানোর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিকদের হাতে রাখি পরানো হয়। রাখি পরানোর পর সকলকে মিষ্টি মুখ করানো হয় এই সংগঠনের পক্ষ থেকে। রাখিবন্ধন উৎসবের দিনে সংগঠনের এহেন পদক্ষেপ সম্পর্কে সংগঠনের সদস্যা স্বপ্না সাহা মন্ডল বলেন,"সীমান্তে জওয়ানরা সারাবছর নিষ্ঠার সাথে তাদের কর্তব্য পালন করে যাচ্ছে এবং পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকরা আমাদের নিরাপত্তা প্রদান ও বিভিন্ন রকম পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের উচিৎ তাদের সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া এবং তাদের মুখে হাসি ফোটানো। এই আত্মোপলব্ধি থেকেই আমাদের সংগঠনের তরফ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।"