সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে লাগামছাড়া কোভিড সংক্রমণের মাঝেই ২২ জানুয়ারি পুরভোট।   পুরভোটের আগে এই মহূর্তে কী অবস্থা শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

 

রাজ্যে দোরগড়ায় পুরভোট (Municipal Election 2022) । এদিকে  কোভিড সংক্রমণ (Covid Infection) বেড়েই চলেছে। এতটাই আক্রান্তের সংখ্যা রোজ বাড়ছে, যে ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষা নিয়ে উদ্বেগে বেড়েছে সকলেরই। কারণ একের পর এক স্বাস্থ্য কর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও এই পরিস্থিতিতে পুরভোটের প্রচারে রোড-শো কিংবা মিছিল আগে থেকেই বন্ধ করা হয়েছে। তবে তাতেও বাধ মানেনি ভাইরাস। কারণ কম-বেশি জনসংযোগ বা সভা এতদিন চলেছে। যার জেরে কোভিড গ্রাফে প্রভাব পড়েছে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলে। পুরভোট এই মুহূর্তে না হোক এনিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। মামলাও দায়ের হয়েছে আদলতে (Calcutta High Court)। এদিকে ২২ জানুয়ারি ৪ কেন্দ্রে পুরভোটের আগে এই মহূর্তে কী অবস্থা শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

উল্লেখ্য,  ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে পুরভোট। এদিকে ইতিমধ্য়েই শুধু বিধাননগরেই ২৩ টি কনটেন্টমেন্ট জোন রয়েছে। রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ২৪,২৮৭ জন। এদিকে এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মধ্যেই পড়ছে বিধাননগর। গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৩ জন। যা এই মুহূর্তে রাজ্য়ের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এদিকে বিধাননগর গা লাগোয়া পাশ্ববর্তী কলকাতায় এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৭১২ জন। পাশাপাশি আসানসোল অবস্থিত পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। পশ্চিম বর্ধমানে এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ১০০৭ জন। চন্দননগর অবস্থিত হুগলি জেলায়। হুগলি জেলায়  রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৭৬ জন। এর মধ্যে শিলিগুড়ি রয়েছে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জুড়ে। দার্জিলিংয়ে এই মুহূর্তে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৯ এবং জলপাইগুড়িতে ১৯২ জন। বাকি ৪ কেন্দ্রের তুলনায় এই জেলায় কম হলেও আগের থেকে সংক্রমণ বেড়েছে শিলিগুড়িতে।

আরও পড়ুন, Covid-19 Precaution Dose: আজ থেকেই শুরু বুস্টার ডোজ কর্মসূচি, জানুন কীভাবে পাবেন এই টিকা

এদিকে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক অন্তত একমাসের জন্য ইতিমধ্যেই এনিয়ে পরিসংখ্যান দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। পুরভোট পিছিযে যাক, সরব বামেরাও। এবং সদ্য গত সপ্তাহে নিজের ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, আগামী ২ মাসের জন্য সকল কর্মসূচি বন্ধ করা হোক। এদিকে পুরভোটের ইস্যুতে মাললা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে।প্রসঙ্গত, মামলাকারীর তরফে আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করে জানিয়েছেন, কমিশনের উচিত এগিয়ে এসে ভোট বন্ধ করা।  আদালতে আইনজীবী জানান, এই পরিস্থিতিতে ভোটের প্রচার ঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। ভোটাররা বাইরেই আসতে পারছেন না। তাহলে কীকরে ভোট দেবেন। তাঁর প্রশ্ন এই পরিস্থিতিতে ভোট করা কি একান্তই জরুরী প্রশ্ন করা হয়। এদিন মামলাকারীর আইনজীরবীর ওই বক্তব্য রাখার পর রাজ্য নির্বাচনে কমিশনের তরফে রাজ্যের সামগ্রিক খারাপ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। যদিও পুরভোট পিছোতে চায় না বলেই জানিয়েছে রাজ্য। এই ইস্যুতে রাজ্য়ের কাছে হলফনামা চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। রাত পেরোলেই মঙ্গলবার তার শুনানি হবে।