সংক্ষিপ্ত

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি জলের প্রবল চাপেই সড়কটির বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকা ডুবে রয়েছে। ঝাড়খণ্ড ও বাংলার সঙ্গে সংযোগকারী মূল রাস্তা হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে বহু লরিচালক। 

প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) টানা ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) ফলে সমস্যায় পড়েছেন মুর্শিদাবাদবাসী (Murshidabad)। মুর্শিদাবাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ফরাক্কার ৮০নম্বর জাতীয় সড়ক (National Highway) ডুবে গিয়েছে। ওই এলাকায় যে রাস্তা ছিল তা বোঝাই যাচ্ছে না। এর জেরে শুক্রবার ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে।

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি জলের প্রবল চাপেই সড়কটির বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকা ডুবে রয়েছে। ঝাড়খণ্ড ও বাংলার সঙ্গে সংযোগকারী মূল রাস্তা হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে বহু লরিচালক (Lorry Driver)। বাধ্য হয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করছে ভারী যানবাহনগুলি। সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে অন্য যানবাহনের চালকরাও। অবিলম্বে জাতীয় সড়ক সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি তুলে জাতীয় সড়কের পাশেই বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

আরও পড়ুন- গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় আটক আরও ২, প্রমাণ লোপাট করতে গিয়েই পুলিশের জালে মিঠু

বহু বছর ধরে ওই এলাকায় সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, "জল বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। পাথর ফেলে ওই রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। ওই জায়গায় সেতু তৈরির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলব। ব্রিজ না হলে এলাকায় সমস্যা মিটবে না।" জানা গিয়েছে, নিশিন্দ্রা এলাকার জাতীয় সড়কের প্রায় ৪০০মিটার জলের তলায় চলে গিয়েছে। 

আরও পড়ুন- দিলীপ-সুকান্তের সভার আগে উত্তেজনা দাঁইহাটে, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর-মারমারি

মূলত ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি জলের তোড়ে সড়কে ধস নামে। জলের প্রবল স্রোত ও রাস্তায় ধস নামায় জাতীয় সড়কে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই পথে সাধারণত ঝাড়খণ্ড থেকে পাথর, বালি ও পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করে। এলাকাটি প্রায় প্রতিবছর জলের তোড়ে ভেসে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে ঘুরপথে গাড়ি চালাতে হয়। এদিকে, তারই মধ্যে আবার একজন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। 

আরও পড়ুন- ভবিষ্যতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্যাঁচার ভাণ্ডারে পরিণত হতে পারে, বললেন সুকান্ত

এনটিপিসির ঠিকা শ্রমিক প্রভু সিং নিশিন্দ্রা দিয়ে যেতে না পারায় বিকল্প রাস্তায় ফরাক্কার অন্য সেতু দিয়ে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় সেতু থেকে আচমকা গঙ্গায় পড়ে যান তিনি। জলের তোড়ে তলিয়ে যান। সেই থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। স্থানীয় লোকজন ও ট্রাকচালকরা কয়েক বছর ধরে নিশিন্দ্রায় সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ শেখ বলেন, "দ্রুত যদি এই জাতীয় সড়কের অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে তাহলে মুর্শিদাবাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই রাজ্যের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন।"

YouTube video player